প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১২:৪০:৩৫ অনলাইন সংস্করণ
গত জুন মাস থেকে পাকিস্তানে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে বন্যা হয়ে এর এক-তৃতীয়াংশই পানিতে প্লাবিত হয়। জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। ৬ হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন, ৩ কোটি ৩০ হাজার গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং লাখ লাখ ভবন ও অবকাঠামোর ক্ষতি বা তা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, সেতুগুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় এবং রাস্তাঘাটগুলো কর্দমাক্ত হওয়ায় সঙ্কট কবলিত অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানোর রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বন্যার কারণে মানুষের স্বাস্থ্যগত অবস্থার ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলছে।
পাকিস্তানে ডব্লিউএইচও’র প্রতিনিধি পালিথা মহিপালা বলেন, বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে এবং আগামী মাসগুলোতে আরো বৃষ্টিপাতে আশঙ্কা থাকায় এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে।
রাজধানী ইসলামাবাদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন, নিরাপদ পানি ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে শিবিরগুলোতে রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর জন্য মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের নেই।
মহিপালা বলেন, ডায়রিয়াজনিত রোগ, ত্বকের সংক্রমণ, শ্বাসনালীর সংক্রমণ, ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ার কারণে ইতোমধ্যে ব্যাপক স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং অনুমান করা হচ্ছে যে আগামী দিনগুলোতে বন্যা আরো খারাপ আকার ধারণ করবে। যা মানবিক ও জনস্বাস্থ্যের উপর আরো বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।