এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসতিয়াক হাসান, আন্তঃপুঞ্জি উন্নয়ন সংগঠন কুবরাজের সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং, সাংবাদিক মিন্টু দেশোয়ারা ও মাহফুজ শাকিল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গরিব-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তি হিসেবে চা-শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৮০ শিক্ষার্থীকে ৪ লাখ টাকা ও উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ১৫ শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার করে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। শিক্ষাবৃত্তি হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তালিকা অনুযায়ী ৫০টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৩টি চা-বাগানে বসবাস করে’ উলেখ করে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী খোকন কুর্মী জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গরিব-মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি এবারই প্রথম আমরা বৃহৎ পরিসরে পেয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।’
১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সারথি মাহালি জানান, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তালিকায় আমাদের জাতিগোষ্ঠীর নাম অনেক আগে থেকে থাকলেও আমরা এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রচেষ্ঠায় তা পেয়েছি। এজন্য তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকবার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করে থাকি। চা-বাগানে থাকা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বড় পরিসরে প্রথমবারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেয়েছে।’ ‘আমরা চাই পিছিয়ে পড়া সব জনগোষ্ঠী এগিয়ে আসুক। এজন্য উপজেলা পর্যায়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলোতে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, যেন কেউ বঞ্চিত না হয় এমন কথা জানালেন তিনি।