প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ , ১০:২১:৪১ অনলাইন সংস্করণ
এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতনের সপ্তাহ পার করল যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে উদ্বেগ, সুদহার বৃদ্ধি ও ফেডারেল সরকারের একাংশের কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকির কারণে বাজারে ধস নেমেছে।
বাজারের তিনটি সূচকই নিম্নগামী। এর মধ্য প্রযুক্তিকেন্দ্রিক নাসডাক ২০ শতাংশ পতনের মুখ দেখেছে। যার মানে, এই শেয়ারবাজার ‘বিয়ার মার্কেটে’ পরিণত হয়েছে।
কমপক্ষে দুই মাসের মধ্যে শেয়ার সূচক ২০ শতাংশ কমলে সেটাকে ‘বিয়ার মার্কেট’ বা পতনপ্রবণ শেয়ারবাজার বলা হয়।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডাউ জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজে এ সপ্তাহে ২০০৮ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ সূচকের পতন দেখেছে। এসঅ্যান্ডপির ক্ষেত্রেও সপ্তাহে ৭ শতাংশ সূচক কমেছে। ২০১১ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ গড় দরপতনের ঘটনা।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কয়েক বছর ধরে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের লাভের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা মূলধন সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। করপোরেট মুনাফার বিষয়ে উদ্বেগ থেকে অনেকে শেয়ারবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। এর বাইরে স্থানীয় ও বৈদেশিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ায় অনেকেই উদ্বেগে পড়েছেন।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার তুলে দেয় এবং তা আগামী বছরেও তা বজায় থাকার কথা বলে। ২০১৯ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয় ফেড ব্যাংক, যা সেপ্টেম্বরে দেওয়া ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির চেয়ে কম।
সিএমসি মার্কেটের বিশ্লেষক মাইকেল হিউসন বলেন, চীন ও ইউরোজোন এলাকায় ব্যবসার গতিধীর। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অর্থনৈতিক সূচক নমনীয় হয়েছে। এরপরও ফেডের সুদহার বাড়ার বিষয়টি আরও বাড়ার ইঙ্গিত দেয়।
ওয়েস্টপ্যাক নামের একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের অর্থনীতিবিদ এলিয়ট ক্লার্ক বলেন, ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক কূটনীতির বিষয়টি বাজারের অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।