প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২০ , ৯:৩৫:২২ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্ক।। গ্রামবাসীর বাধায় দাফন করতে না পেরে ছেলের লাশ নিয়ে রাস্তায় বসে ছিলেন বাবা-মা। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাস্তায় পড়েছিল লাশ। খবর পেয়ে গভীর রাতে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবার নিয়ে চাঁদপুরে থাকতেন ফার্মেসি দোকানি রাজীব (৩৬)। তার পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সাগরতলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় শনিবার দুপুরে রাজীবকে চাঁদপুর শহরের এটি হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেয়ার পথে বিকাল ৪টার দিকে রাজীবের মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে তার বাবা-মা লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের জন্য সাগরতলা গ্রামে নিয়ে আসলে গ্রামবাসী লাশ দাফনে বাধা দেন। এর ফলে ছেলের লাশ নিয়ে রাস্তায় বসে থাকেন রাজীবের বাবা-মা। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাস্তায় পড়েছিল রাজীবের লাশ। কিন্তু কেউই রাজীবের লাশ দাফনে এগিয়ে আসেননি।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। রাত দেড়টার দিকে কাফনের কাপড়ের দোকান খুলিয়ে কাপড় কিনেন চেয়ারম্যান জীবন। এরপর স্থানীয় এক মসজিদের ইমামকে ডেকে কসবা থানার (ওসি) লোকমান হোসেনকে নিয়ে জানাজার নামাজ পড়েন। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় রাজীবের লাশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন জানান, করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে মনে করে গ্রামের লোকজন লাশ দাফনে বাধা দিয়ে ছিল। রাজীবের বাবা-মা তার লাশ নিয়ে রাস্তায় বসেছিল। আমি খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে মসজিদের ইমাম ডেকে এনে জানাজার নামাজ পড়েছি। এরপর থানার ওসি ও ছাত্রলীগের ছেলেদের নিয়ে লাশ দাফন করি।