প্রতিনিধি ২৬ নভেম্বর ২০১৯ , ১২:৫০:৫৭ অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে স্কুলের সহকারি শিক্ষক, স্কুলের অফিস সহকারি পর্যন্ত এই কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত বলে জানা যায়।
অভিভাবক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সহকারি শিক্ষক মো আফজালুল হক শিপলু, শফিকুল ইসলাম শিকদার, মোঃ মুক্তার হোসেন, অফিস সহকারি কাজী জয়নাল আবেদিন প্রমুখ, এছাড়াও বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিটা শিক্ষক এই কোচিং বানিজ্যের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত চলছে জমজমাট কোচিং বানিজ্য৷ এই কোচিং বানিজ্য নিয়ে অভিভাবক মহলে চলছে নানা গুঞ্জন।
কোন অভিভাবক যদি তার সন্তানকে তাদের কোচিং সেন্টারে পড়াতে না চান- তখন সেই ছাত্র/ ছাত্রীর পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ আসে বলে মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক।
সকাল ৭ টা থেকে ৯ টা আবার সন্ধ্যা ৬ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত দুই সিফটে চলে কোচিং বানিজ্য।
প্রতিটা কোচিং সেন্টারে মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা- ৬০-১০০ জন।
মাথাপিছু ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে ৬০০/৮০০ টাকা হারে নিচ্ছে বললেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক অভিভাবক।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান বলেন আমাদের কাছে আগে একটি অভিযোগ ছিল ফরম ফিলাপের জন্য ৫০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছিল বলে! আমাদের নির্দেশ অনুযায়ী সেই অতিরিক্ত ৫০টাকা অভিভাবক দেরকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন ক্লাস রুমে কোন ধরনের কোচিং করা যাবেনা সম্পূর্ণ নিষেধ এবং বিশেষ ক্লাস করতে হলে অভিভাবক সদস্যদের লিখিত সুপারিশের মাধ্যমে করতে হবে ও ১৫০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
তবে বিদ্যালয়ের কোচিং”এর বিষয়টা আমি জানি না।
এখন যেহেতু আমাদের কাছে খবর এসেছে আমারা কোচিং”এর বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিযুক্ত শিক্ষকদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।