প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২০ , ১০:৪২:৩১ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মধ্য প্রাচ্যের দেশ লিবিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় জগন্নাথপুরের “রনি” সহ দুই জন নিহত হওয়ার পাশা-পাশি তিন জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত “রনি”র পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
ঘটনার বিবরনে জানাজায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জগদীশপুর গ্রাম নিবাসী মৃত মোঃ গোলাপ মিয়া তালুকদার এর ছেলে হাফিজ মোঃ আজহারুল ইসলাম রনি তালুকদার (২২) ও একই গ্রাম নিবাসী মোঃ মাসুক মিয়ার ছেলে মোঃ রায়হান আহমদ (২০) মৃত মোঃ আব্দুল আহাদ এর ছেলে মোঃ আবুল খয়ের এবং মোঃ সুহেল তালুকদার এর ভাগিনা মোঃ জিলানী মিয়া পরিবারের লোকজন এর অন্যবস্ত্র আর মূখে এক ঝিলিক হাসি ফুটানোর লক্ষে টাকা নামক সোনার হরিণ এর খোঁজে স্বপ্নের ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে দালাল নামক আদম ব্যাপারীর মাধ্যমে বিগত প্রায় তিন মাস আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লিবিয়ায় পৌঁছে বসবাস করে আসছিল। ওরা গত ১৬ ই এপ্রিল লিবিয়ার বেনগাজী শহর থেকে ত্রিপোলি শহরে প্রাইভেটকার যোগে যাওয়ার পথে ত্রিপোলি – বেনগাজী সড়কের ত্রিপোলির নিকটবর্তী এলাকায় ১৭ ই মে ভোর রাতে রনি,রায়হান,জিলানী ও আবুল খয়েরকে বহনকারী প্রাইভেটকরাটিকে অপর দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একটি ট্রাক চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে দুর্ঘটনাস্থলে হাফিজ মোঃ আজহারুল ইসলাম রনি তালুকদার (২২) ও প্রাইভেটকার চালক মৃত্যু বরন করেছেন। রায়হান, জিলানী ও আবুল খয়ের গুরুতর আহত অবস্থায় ত্রিপোলি শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।আর নিহত রনি ও গাড়ী চালক এর মরদেহ পুলিশী হেফাজতে হাসপাতাল এর মর্চুয়ারীতে রাখা হয়েছে।
লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বসবাসরত জগন্নাথপুরের মাছুম ও শামীম এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রনির অকাল মৃত্যু ও অপর তিন জন আহত হওয়ার ঘটনায় জগদীশপুর গ্রাম সহ আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রনির মৃত্যুর সংবাদে জানতে পেরে তার মা বাকরূদ্ধ। শোকে স্তব্ধ পরিবারবর্গ সহ আত্মীয় স্বজন।
এ ব্যাপারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রনির চাচাতো ভাই জগন্নাথপুর উপজেলা শাখা নিরাপদ সড়ক চাই(নিসচা) এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার বলেন, লিবিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চাচাতো ভাই রনি নিহত হয়েছে এবং তার সহপাঠীরা আহত হয়েছে। আমরা সবাই শোকাহত।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রনির লাশ দেশে আনার চেষ্টা করছি। সপ্তাহ খানেকের ভিতরে মরদেহ দেশে আসবে বলে আশাবাদী।