প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২০ , ৯:০১:৫৫ অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশকে যড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসাতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছেন প্রতিপক্ষরা।
গত ৭ মে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর ফতেপুর ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য নির্বাচনী প্রতিহিংসা ও অবৈধ সুবিধা ভোগ করতে না পারায় চেয়ারম্যান‘র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘঠনায় সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ঘটনাটি ইউনিয়নে জানাজানির পর নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইউনিয়নবাসী।
৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আব্দুস সাহিদ চৌধুরী ও ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ লুৎফুর রহমান জানান বিভিন্ন সময়ে সরকারী বরাদ্ধ আসলে নিজ দায়িত্বে প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যদের নিয়ে বিতরনের চেষ্টা করেছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ । বরাদ্দের বন্ঠন যাতে সটিকভাবে হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেন তিনি। তারা বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।
এলাকাবাসীর দাবী চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ এই ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। গত ৪ বছরে বিভিন্ন দুর্যোগ সময়ে সরকারের বরাদ্দের পাশাপাশি প্রবাসীসহ নিজ উদ্যেগে ইউনিয়নবাসীকে ত্রানসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতায় তিনি সবসময় সচেষ্ট ছিলেন।
নকুল চন্দ্র দাশ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর হাওর বেষ্টিত ফতেপুর ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পাল্টে গেছে পুরো ফতেপুর ইউনিয়নের চিত্র। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সততার সাথে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করে আসছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে নিরন্তর ছুটে চলায় সকল মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে তিনি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান সহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে রেখেছেন দায়িত্বশীল ভূমিকা।
ইউনিয়নে মামলা-হামলা সহ পারিবারিক দন্ধ নিরসনে নুকুল চন্দ্র দাস অগ্রনী ভুমিকা রেখে চলেছেন। তাছাড়া মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে নিয়মিত পৃষ্টপোষকতা করে আসছেন তিনি।
এব্যাপারে রাজনগর উপজেলা কৃষি অফিসার ও ট্যাগ অফিসার মো: শাহাদুল ইসলাম বলেন, ত্রান বিতরনের দিন সকাল থেকেই আমি স্পর্টে উপস্থিত ছিলাম। বেশীরভাগ প্যাকেটে ওজন সঠিক ছিল। কয়েকটি প্যাকেটে ওজনে ৫০থেকে ২০০ গ্রাম এর মধ্যে কম থাকার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই আমি উপস্থিত থেকে ডিজিটাল মেশিন এনে ওজন সঠিক করে বিতরন করেছি। যা তাৎক্ষনিক ভাবে রাজনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নিবাহী কর্মকতা উর্মি রায়কে অবগত করা হয়।
মিথ্যা ও যড়যন্ত্রমুলক অভিযোগে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টি বের করার জন্য প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন ১নং ফতেপুর ইউনিয়নবাসী।