প্রতিনিধি ১১ মে ২০২০ , ৭:৫৭:০৫ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কমেন্টস্ (মব্য) করাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা ঘরবাড়ি ও মন্দির ভাংচুর করেছে।
রবিবার ইফতারের পর (সন্ধ্যায়) পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের তাতিকোনা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত নারীপূরুষসহ ১১ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, তাতিকোনা গ্রামের বাসিন্দা তাপশ ও আরিফ মধ্যে ফেইসবুকে কমেন্টস করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে পথচারীসহ নারী পূরুষসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনার পর সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি ও মন্দিরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে মূর্তির গলা থেকে স্বর্ণের নেকলেছ নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
আহতরা হলেন, তাপস দাস (৩২), শিপলু দাস (২৭), পবলু দাস (৩২), পিলু দাস (২৬), রাতুল চৌধুরী (৩০), সুমন দাস (২৬),শিপু দাস,জয়ন্তী রানী দাস(৫০),খেলা রানী দাস(৬০),তৃপ্তি রানী দাস(৫৫) ও রিতা রানী দাস(৫৫) প্রমুখ। অন্যন্য আহতদের নাম তাক্ষনিক জানা যায়নি। আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার গভীর রাতে তাপশ দাস বাদি হয়ে হামলাকারী ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫কে আসামী করে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি। খবর পেয়ে রাতেই ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তফা কাামলের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এছাড়াও রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির, এসপি সার্কেল (ছাতক) বিল্লাল হোসেন।
তবে আজ সোমবার দুপুর ১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সত্যতা নিশ্চিত করে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন উভয় পক্ষকে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তফা কালাম দুই বন্ধুর মধ্যে ফেইসবুকে কমেন্ট নিয়ে মূলত এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ২২ জনকে আসামী করে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।