• সুনামগঞ্জ

    তাহিরপুরে নিরীহ পরিবারের বন্ধকী জায়গা জোরপূর্বক দখলের পায়ঁতারা, লুটপাঠ ও মারধরের অভিযোগ

      কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ৯ মে ২০২০ , ১১:৩৩:০৮ অনলাইন সংস্করণ

     

    সুনামগঞ্জরে তাহিরপুর উপজেলার বাণিজুরী ইউনিয়নের বড়খলা গ্রামে এক নিরীহ পরিবারের বন্ধকী জায়গা জোরপুর্বক দখলের পায়ঁতারায় একটি মহল সক্রিয় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ,উপজেলা পরিষদ ও তাহিরপুর থানায় আলাদাভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কোন প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

     

    ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে বড়খলা গ্রামের জীতেন্দ্র চন্দ্র পালের স্ত্রী বিনয় রানী পাল বাদি হয়ে একই গ্রামের সচিন্দ্র বর্মনের ছেলে সত্যরঞ্জন বর্মন(৪০),নিধান বর্মন(২৭), হান্নান সরকারের ছেলে উজ্জল মিয়া (৩৫), মো: উত্তম(৩০), বড়খলা গ্রামের বাসিন্দা আঃ খালেকের ছেলে মনু মিয়া(৪০), মো: হারুন (মিয়া(৩৫), আতিকুল (২২), সাহাজ উদ্দিন (২৫), তাল ইসলাম(২২), রতনশ্রী গ্রামের মৃত লাহুত মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া(৪০) এই ১০জনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় জিতেন্দ্র পালের স্ত্রী বিনয় রানী পাল আলাদা আলাদাভাবে অভিযোগগুলো দায়ের করেন।

    অভিযোগ সুত্রে যানা যায় জীতেন্দ্র চন্দ্র পাল একজন নিরীহ দিনমজুর লোক তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নদীর পাড়ে বন্ধকী ভূমিতে কাজ করিয়া ২০১৯ সালের ১১ই অক্টোবর মাসে একই গ্রামের ধনঞ্জয় বর্মনের ছেলে উপেন্দ্র বর্মন ও কামিন বর্মনের ছেলে নারায়ন বর্মনের কাছ থেকে স্পাম্পের মাধ্যমে চুক্তিপত্র করে নগদ দুই লক্ষ টাকা দিযে ৬৫ শতাংশ জাগয়া পাচঁ বছরের জন্য বন্ধক রেখে ভোগদখল করেন এবং সেখানে একটি দোকান কোঠা তৈরি করে চা, পান ও ডিজেল এর ব্যাবসা করে কোনভাবে দিনাতিপাত করে আসছিলেন এবং বাকি জায়গাতে শাক সবজি চাষ করেন।

     

    যার মৌজা- বড়খলা, আর,এস,-১২২,খতিয়ান নং-৩৩৪,১২২,দাগ নং-২৪৫,আর.এস.ও এস.এ-২১৭,২৪৬,২৪৮দাগে মোট পরমিান -০.৬৫ আমন রকম ভ’মি।

     

    এই ভূমিতে প্রায় বছর দুয়েক ধরে এই জায়গাতে বালু পাথরের রয়েলিটি নিতে ব্যবসায়ীরা ঐ জায়গাকে ব্যবহার করে প্রতিবছর একলাখ টাকা মৌখিকভাবে ঐ জমির বন্ধকী মালিককে দেয়ার কথা থাকলেও ঐ রয়েলিটির সম্পূর্ণ টাকা জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাচ্ছেন বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বড়খলা গ্রামের প্রভাবশালী রেনু মিয়া ও তার সহোদরগংরা।

    এছাড়াও গত ১৮ই মার্চ নুর মিয়ার নেতৃত্বে একদল দাঙ্গাবাজ চক্র জোরপূর্বক ভাবে নিরীহ জীতেন্দ্র চন্দ্র পালের রাখা বন্ধকী জায়গা দখল করার জন্য বিনয় রানী পাল তার স্বামী জিতেন্দ্র পালকে মারপিঠ করে রক্তাক্ত জখম করে দোকান কোঠার মালামাল লুটপাঠ করে নিয়ে যায়কোন প্রতিকার না পেয়ে হামলা ও লুটপাঠর শিকার হয়ে অবশেষে উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান বরাবরে ৭ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জীতেন্দ্র চন্দ্র পাল।

     

    জানাযায় গত ১৮ই মার্চ বড়খলা গ্রামের সকুল বর্মন, শিবা বর্মন, সুজন বর্মন,রনজিৎ বর্মন,নকুল বর্মন,রেনু মিয়া, হারুন মিয়া,সহ আরো অজ্ঞাত ৪/৫জন মিলে জীতেন্দ্র পালের দোকানে হামলা করে ৫০হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় এবং তাকে তার বন্ধকী জমি েেথকে উচ্ছেদের জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে। এছাড়া ও তার জমি থেকে রয়েলিটি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন বিবাদী গংরা।

     

    এসব অভিযোগের কারনে নিরীহ জিতেন্দ্র পাল ও তার ন্ত্রী বিনয় রানী পাল বর্তমানে প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে জীবনযাপন করছেন বলে জানান বিনয় রানী পাল। তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বন্ধবী জায়গা থেকে গত দুই বছর ধরে নেয়া রয়েলিটির দ্ইু লাখ টাকা উদ্ধার সহ এই দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তারা।

    এ ব্যাপারে বিবাদি বালিজুরী ইউপি সদস্য মোঃ রেনু মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জিতেন্দ্র পাল এই ৬৫ শতক জায়গা যে ৫ বছরের জন্য স্পাম্পের মাধ্যমে বন্ধক রেখেছেন তা স্বীকার করলে ঐ জায়গার উপরে প্রতি বছরের রয়েলিটি বাবত এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা তিনি আত্মসাধ করেননি বলে জানান।

    এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান বিনয় রানী পালের এই বন্ধকী জায়গা ও স্টাম্পের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ভূয়া বলে দাবী করেন।

    এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল অভিযোগ দায়ের ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাহিরপুর থানার ওসিকে বলা হয়েছিল। তিনি বলেন গণমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে এসে যদি এই ঘটনার সত্যতা মিলে তাহলে যেন এই অসহায় পরিবারটি ন্যায় বিচার পায় সেই ঘটনার উদঘাটন করা জরুরী এবং তার মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content