• মুক্ত কলাম

    দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল হকিকত- বিনিইয়ামিন রাসেল

      প্রতিনিধি ৮ মে ২০২০ , ৪:৩৭:০৪ অনলাইন সংস্করণ

    বিনিইয়ামিন রাসেলঃ

    একটা দেশের উন্নয়ন,অগ্রগতি অনেকাংশে নির্ভর করে সে দেশের শিক্ষার মান ও সর্বস্তরের মানুষের কাছে শিক্ষা ব্যবস্হা পৌঁছে দেওয়ার উপর।শিক্ষা ব্যবস্হা আধুনিকরণ,মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন,শ্রেণীকক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ, সকল স্তরের শিক্ষদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার মাধ্যমে দক্ষ, প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা যেমন সম্ভব তেমনি সম্ভব ওইসব গোল্ড ম্যানদের দ্বারা দেশকে বিদেশের মাটিতে সুচারু রূপে রিপ্রেজেন্ট করা।

    আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হার সিস্টেমটা এমন যে,মান্ধাতা আমলের ব্যবস্হা থেকে আমরা এখনও পুরোপুরিভাবে বেরোতে পারিনি। আমাদের দেশে প্রায় প্রতি বছরই পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আসে।পরিবর্তন আসে পরীক্ষা ব্যবস্হায়।দুর্নীতির শীর্ষে ধরে রাখা প্রতিষ্টান হিসাবো শিক্ষা মন্ত্রণালায় স্হান পায়।আমদের দেশে পরীক্ষা না দিয়ে ও পাশ করা যায়।ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড না হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা যায়।শুধু মাত্র দলবাজি, তেলবাজি করেই অদক্ষ, অযোগ্য হওয়ার পরও প্রমোশন পাওয়া যায়।মামা,চাচা,বাবা,টাকার জোর থাকলে সহজেই চাকুরী বাগিয়ে নেওয়া যায়।দলীয় বিবেচনা সর্বাগ্রে, সর্বক্ষেত্রে প্রাধান্য পায়।মেধা,নিরপেক্ষতা যেখানে শুধু ই অসহায়।লাল দল,নীল দল,সাদা দলের পাল্লায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট বৃদ্ধি পায়।গবেষণায় চেয়ে অবকাঠামো,অপ্রয়োজনীয় বিষয়াদির জন্য বাজেট থেকে অর্থ ছাড় পায়।ভিসি,প্রো-ভিসি, ছাত্রনেতারা এক সাথে, একই সুরে গান গায়।দাবি আদায়ের কণ্ঠস্বর খুবই ক্ষীণ শুনা যায়।সর্বত্র পর্যায়ে ক্ষমতা ধরে রাখা আর ক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা প্রধান্য পায়।শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড সে কথাটা উচ্চশিক্ষিত, উচ্চপর্যায়ের উচ্চপদস্থ লোকেরা অবলীলায় ভুলে যায়।কারণ তাদের প্রায় সকলের সন্তানেরা ই বাইরে পড়ালেখা করতে যায়।
    এ রাষ্ট্র, রাষ্ট্রীয় বড় পদে থাকা কর্তারা গবেষণার চিন্তায় নয় সবসময় থাকে ভাগাভাগির চিন্তায়।দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পৃথিবীর শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে নয়,তারা নিজেদের চিন্তায় দিন কাটায়।তাই তো মেধাবীরা দেশে জায়গা না পেয়ে,তাদের চিন্তার প্রতিফলন ঘটাতে না পেরে ক্ষোভ, যন্ত্রণায় বিদেশে পাড়ি জমায়,পালায়।তাদের সর্বোচ্চটা ওখানেই ঢেলে দেয়।সর্বোপরি কর্তাদের মনে দেশ প্রেম না থাকার কারণে হতভাগা স্বদেশ কে খুড়িয়ে খুড়িয়ে আগাতে দেখা যায়।মুখে শিক্ষা নিয়ে বড় বড় কথা আর কার্যক্ষেত্রে শুধু ই ধোকা এ নিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্হা আজ চরম অসহায়।

    আরও খবর

    Sponsered content