প্রতিনিধি ২৯ এপ্রিল ২০২০ , ৯:৩৮:০০ অনলাইন সংস্করণ
কুলেন্দু শেখর দাস,সুনামগঞ্জ।।
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,এই বৈশাখ মাস সময়টা বোরো ধান কাটার মৌসুম। আমাদের সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের অর্দেকের বেশী যোগান দেয় বোরো ধান। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুধু হাওর নয়, এই মুহুূর্তে সারাদেশের ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তোলা এখন জরুরী একটি কাজ। তিনি বলেনএটি করতে পারলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অনেকাংশে নিশ্চিত হবে। তাই কৃষি মন্ত্রনালয়ে এনব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুুর রাজ্জাক কলেন,করোনা ভাইরাসের বিরুপ পরিস্থিতির মাঝেও হাওরগুলোর বোরো ধান কাটার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসে ধান কাটছেন। হাওরের জন্য জরুরী ভিত্তিতে ধান কাটার যন্ত্রপাতি দেয়া হয়েছে এবং প্রতিকূল পরিবেশে হাওরের কৃষক যাতে সহজে যন্ত্রপাতি কিনতে পারেন সেজন্য যন্ত্রের দামের ৩০ শতাংশ দেয় কৃষক এবং ৭০ শতাংশ দেয় সরকার। একই সাথে দেশের অন্য এলাকা তেকে হাওরের আগাম বোরো ধান কাটার জন্য কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার নিয়ে আসা হয়েছে। এরফলে ইতিমধ্যে হাওরের ৬৭ শতাংশ বোরো ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন মহামারী করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। খাদ্য সংকট বা র্দূভিক্ষের আশংঙ্কা করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে বার বার কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। কৃষি ও কৃষকদের সর্বোচ্ছ গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর আহবান জানান। সে-লক্ষ্যে কৃষিমন্ত্রনালয় কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি কাজের সময় বজ্রপাতে কেহ মারা গেলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি বলেন,কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে ক্ষুদ্র এবং প্রান্কি চাষীদের জন্য একটি তালিকা করে দেয়া হয়েছে সেই তালিকা অনুযায়ী লটারী হবে সেই লটারীতে কেহ প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। সেখানে ডিসি,এসপি ,খাদ্য নিয়ন্ত্রন অফিসের কর্মকর্তাসহ কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। গত আমন মৌসুমে ৬ লক্ষ টন ধান সরকার কিনেছিল। দেশের ২২টি জেলা থেকে এফ এর মাধ্যমে ৮ লক্ষ মোট্রক টন ধান সরাসরি কৃষকদের নিকট হতে কেনা হবে ও তিনি সবাইকে আশ্বস্থ করেন।
তিনি আরো বলেন সারাদেশে ধান কাটা সহজতর করতে ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে প্রায় ১৩০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও ৯৩৪টি রিপার,২২টি রাইস প্রান্সপ্লানটারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে। এ সময় কৃষিমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী নতুন ২টি হারভেস্টার কৃষকদের মাঝে বিতরন করেন এবং ২য় ধাপে ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ২ মন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান বলেছেন,হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অকৃত্রিম ভালবাসা সবসময় আছে বলেই তিনিএখানকার কৃষকদের উৎসাহ দিতে নতুন ২টি হারভেস্টার প্রদান করেছেন। এই সরকার কৃষকদের জরুরীভিত্তিতে ধান কেটে ঘরে তোলার যন্ত্রপাতি ও দিয়েছেন। এসব যন্ত্রপাতির মা ও খুব ভালএবং দ্রæত সময়ের মধ্যে কৃষকরা ধান কেটে ঘরে তুলতে সক্ষম হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজ বৃধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটা ও কৃষকদের উৎসাহ প্রদান উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিখি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন,সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. জয়াসেন গুপ্তা,সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক,সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ,মহিলা সংসদ সদস্য এড. শামীমা শাহারিয়ার, কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল,ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান কবীর,জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ,পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের উপ পরিচালক মোঃ সফর উদ্দিন,জেলা আওয়ামীলেিগর সাধারন সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এনামুল কবরি ইমন,সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন নাহার রুমা প্রমুখ।