প্রতিনিধি ২৭ এপ্রিল ২০২০ , ১:২৭:৪৬ অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ব মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশেও চলছে ঘরে থাকার নির্দেশ,চলছে লকডাউন, সাধারণ ছুটি পরীসিমা বেড়েই চলছে।কেননা পরিস্থিতি এখন চলে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণ বাহিরে।নির্বাক সবাই! বন্ধ রয়েছে দেশব্যাপী পরিবহন ব্যবস্থা। খাদ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ওষুধপত্র ছাড়া সবরকম দোকানপাটও বন্ধ। কেনাকাটাও বন্ধ। পারিবারিক, সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিসহ সবরকম উৎসব-আনন্দ থেমে গেছে। আমরা বাঙ্গালী আমরা একটু বেশী অতিথিপরায়ণ এখন সেই কাজটা ও বন্ধ।
জনজীবন বলতে গেলে স্থবির হয়ে পড়েছে নির্ঘুম রাত কাটতে যেন চায় না কারোর।
রাতের বেলায় পাহারাদার এর বাঁশির শব্দ যেন অনেকটা উপহাস করেই বলে জানি তোমরা জেগে আছো আর অজানা আশংকায় অপেক্ষা করছো কি নতুন খবর আসছে চোখের সামনে টিভির কিংবা ফেইছবুকের পাতায়। কতজন সনাক্ত মৃত্যুর সংখ্যা পাল্লায় কতটা ভারী হচ্ছে! এমন করেই ভোর হয় সারাদিন কাটে এক নীরব আর্তনাদে। কেউ কাউকে কুশল বিনিময়ের কালে জেনে ও ভালো নেই তারপরও জিগাসা করি কেমন আছো? তখন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলা হয় আছি আর কি।
পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়ে গেলো।এমন কখনো কেউ ভাবেনি রমজানে ইফতারীর পসরা সাজিয়ে বসবে না দোকানী! তারাবীর সময় ও মসজিদে সীমিত ভাবে জামাত আদায় করার নির্দেশ কিন্তু দৃশ্যপট তো এমন হবার নয়।তারাবীর জামাতের জন্য ছুটে যাবে মুসল্লিরদের দীর্ঘ সাড়ি এখানেও এমনটা সম্ভব হচ্ছে না , কেননা আমরা পরিস্থিতির শিকার।বাস্তবতা বড়ই কঠিন আজ! ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইফতারী সামনে দুহাত তুলে আল্লাহর নিকট বলে যাচ্ছে রহমতের মাসের উছিলায় আমাদেরকে এই মহামারীর থেকে মুক্তি দাও।ঘরে ঘরে নেই সেই আপেক্ষিক ঈদের জন্য অগ্রীম মানসিক প্রস্তুতি।ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে একটাই চাওয়া এই মহামারী যেন নির্বাসনে চলে যায় আর ফিরে আসার পথ না পায় কভু।জীবন সে তো পদ্ম পাতার শিশির বিন্দু আমাদের সকলকেই চলে যেতে হবে এটা অনিবার্য তবুও কেউ চাই না এই মহামারীর প্রকোপে জীবন শেষ হতে। উচ্চবিত্ত,মধ্যবিত্ত,নিন্মবিত্তে সবার এখন একটাই আশা আবারও সব স্বাভাবিক হবে খুলে যাবে মসজিদ, মন্দির,গির্জা, স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় সব অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সবাই আবার চাই কর্মময় জীবন ফিরে পেতে নিজের রোজগার দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ডাল ভাত খেয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে।
এই সংকটময় দিনে তাদের ধন্যবাদ না দিলেই নয় যারা লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলার উপায় নেই এই শ্রেণীর মানুষের একটা ভরসার জায়গা যেখানে ফোন করে বললে পরিচয় গোপন রেখে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অভিবাদ এমন মানসিকতার মানুষদের।
পরিশেষে আবার বলি, জানি ভালো নেই কেউ
ভালো নেই দেশ, সমাজ,পুরো পৃথিবী কেননা ভালো থাকা অভিমান করে যেন আড়ি করেছে আমাদের সাথে। তারপরও এইটাই বলা,
ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন,ভালো রাখুন নিজেকে,নিজের পরিবার কে।