প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২০ , ৪:৫৫:৫০ অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সবাই ঘরবন্দী, লকডাউনের প্রভাবে দেখা দিয়েছে ধানকাটা শ্রমিকের সংকট, এমতাবস্থায় সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নয়াবন্দ গ্রামের গরীব কৃষক কালা মিয়ার জমিতে পাকা ধান,হাতে নেই টাকা, ধান কাটার জন্য নেই শ্রমিক, এমতাবস্থা মানবিকতা নিয়ে পাশে দাঁড়ালেন ১নং উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের জনবান্ধন চেয়ারম্যান খসরুল আলম।
নিজে কাঁচি হাতে নিয়ে পুরো পরিষদের ৯জন মেম্বার ও কয়েক জন নেতাকর্মী সাথে নিয়ে কৃষক কালা মিয়ার ধান কেটে দিলেন।
১৮ জনের একটি দল গঠন করে, কাঁচি ও রশি হাতে নিয়ে,কৃষক কালা মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ছোটে যান কৃষক কালা মিয়ার জমিতে।
গতকাল ২০ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১ টা তেকে থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কালা মিয়ার ১ কিয়ার জমির ধান কেটে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান,ওয়ার্ড সদস্যরা ও কয়েক জন নেতাকর্মীরা।
কালা মিয়া স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান- তিনি উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত মাটিয়ান হাওরের জমিতে ধানের চাষ করেছেন কিন্তু শ্রমিক সঙ্কটের কারণে পাকা ধান কাটতে পারছেন না। ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্যদের এমন কাজ আমাকে স্বস্তি দিয়েছে। আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করছি। তিনি আরও জানান চেয়ারম্যান ও মেম্বারা সবাই হাওরপাড়ের কৃষকের সন্তান তাই ধান কাটারও অভ্যাস রয়েছে।
চেয়ারম্যান খসরুল আলম বলেন-করোনার এই দুর্যোগে যদি হাওরে উৎপাদিত ধান কৃষকগণ গোলায় তুলতে পারেন। এতে করে দেশের জন্য হবে এক বিরাট প্রাপ্তি।
আমরা চাই হাওরপাড়ের সবাই মিলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের কাজের পাশে থাকতে ।
ধান কাটায় যারা ছিলেন উপজেলার ১নং উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খসরুল আলম,১নং ওয়ার্ড সদস্য আ:আলিম,২নং ওয়ার্ড সদস্য হাসান,৩নং ওয়ার্ড সদস্য জম্মত আলী,৪নং ওয়ার্ড সদস্য সুধাংশু দাস,৫ নং ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলাম,৬নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল আমিন,৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল মিয়া,৮ নং ওয়ার্ড সদস্য আলী হোসেন,৯নং ওয়ার্ড সদস্য সাজিনুর মিয়া,শিক্ষক মঞ্জু তালুকদার,আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বীজেন ব্যানার্জি বলেন, আমরা সবাই মিলে হাওরে উৎপাদিত ধান কৃষকের গোলায় তোলা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসছেন।চেয়ারম্যান,মেম্বারাসহ যারা ধান কাটায় জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি।