প্রতিনিধি ২০ এপ্রিল ২০২০ , ৬:০৫:৪৮ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ এখন বোরোধান কাটার মৌসুম চলিতেছে।জগন্নাথপুরের প্রতিটি হাওরে পাকা ধান দুলছে। ইতিমধ্যে আগাম বন্যার আশংকা বিরাজমান। করোনাভাইরাস এর ভয়ে অন্য জেলার শ্রমিক ধান কাটার জন্য জগন্নাথপুরে আসিতেছে না।বিদায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়ার আগ পর্যন্ত জগন্নাথপুর উপজেলার কেবলমাত্র কৃষিজাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত সকল প্রকার দোকান -পাট আজ ২০ শে এপ্রিল রোজ সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৪ ঘটিকা পর্যন্ত বন্ধ রাখার পাশা-পাশি বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত খোলা রাখার আহবান জানিয়েছেন জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গতকাল ১৯ শে এপ্রিল রোজ রবিবার দিবাগত রাত জনস্বার্থে সচেতনা মূলক ‘এ সংক্রান্ত একটি পোষ্ট দিয়েছেন থানার ফেইসবুক আইডিতে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কর্তৃক থানার ফেইসবুক আইডিতে দেওয়া স্ট্যাটাস থেকে জানাযায় , আজ ২০ শে এপ্রিল রোজ সোমবার থেকে জগন্নাথপুর উপজেলার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সকাল হইতে বিকাল ৪. ঘটিকা পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকিবে।কারণ এখন বোরো ধানের মৌসুম চলিতেছে বাহিরের জেলার শ্রমিকগন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় ধান কাটার জন্য আসিতেছেন না বিধায় নিজ নিজ এলাকার লোকজনের মাধ্যমে ধান কাটার কার্যক্রম শেষ করতে হবে।দ্রুত এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে না পারলে প্রবল ভারী বর্ষণে বন্যা দেখা দিতে পারে।তাতে পুরো জগন্নাথপুর বাসীর অপূরনীয় ক্ষতির সম্ভাবনা বিদ্যমান রহিয়াছে ।তাই অপূরনীয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সকল ব্যবসায়ীবৃন্দ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর কর্মচারী সহ নিজের অথবা পাশের ঘরের ধান কাটার কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে ।একই সাথে সকল বাস,সিএনজি,টমটম, রিকশার মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি ও একই আহব্বান রইল।পূর্বের নিয়মানুসারে দোকানপাট বিকাল ৪ ঘটিকা হইতে সন্ধ্যা ৬ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা থাকবে।শুধুমাত্র কৃষি জাতীয় পণ্যের দোকান সকাল হইতে খোলা থাকবে।
এবিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জগন্নাথপুর বলেন, জগন্নাথপুরের প্রতিটি হাওরে এখন পাকা ধান দুলছে। ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে আগাম বন্যার শঙ্কা রয়েছে। ফসল হারানোর দুশ্চিন্তায় আছেন আমাদের কৃষক। এজন্যে আমরা সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শুধু কৃষিজাত দোকান ব্যতিত
পর্যন্ত ঔষধের দোকানসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এই সময় হাওরের পাকা ধান কাটার কাজের লাগার জন্য তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, কৃষকের ধান গোলায় ওঠার আগ পর্যন্ত এই নির্দেশনা বহাল থাকবে। সংকটময় এই সময় কৃষকের পাশে দাড়িয়ে পাকা ফসল তোলার কাজে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য আহবান জানান।