প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২০ , ১০:৩৩:৪৪ অনলাইন সংস্করণ
কুলেন্দু শেখর দাসঃ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বেরীগাও গ্রামে এক গর্ভবর্তী নারীকে গর্ভ অবস্থায় গত বুধবার ৮ এপ্রিল সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সোমবার এই গর্ভবর্তী নারীর শরীরে করোনা রোগ শনাক্ত হয়েছে। এতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও নার্সসহ হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই নারীর ষ্পর্শে যাওয়া এক ডাক্তার ও তিনজন নার্সকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া তাদের সংস্পর্শে আসা সুনামগঞ্জের অন্যান্য ডাক্তার ও নার্সদেরও পর্যায়ক্রমে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে। ঐ গর্ভবর্তী নারীর স্বামী কয়েকদিন পূর্বে নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়ি আসেন। তার কারণেই স্ত্রী সংক্রমিত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়। ওই সময় তার স্বামীও সঙ্গে ছিলেন। এ বিষয়টি গোপন করায় এখন ডাক্তার নার্সসহ বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের সান্নিধ্যে যাওয়া সবাই আতঙ্কে ভোগছেন। রোববার জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নানগাওঁ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে ও এক সৌদী প্রবাসীর ন্ত্রীর শরীরে করোনা পজেটিভ ছিল।
ঐ নারী বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে সুনামগঞ্জে গত দু’দিনে ২জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের শরীরে পজেটিভ পাওয়া গেছে।
এদিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের গাইনী ও মেডিসিন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা ওই নারী দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। পরিবারের লোকজন তথ্য গোপন করায় এখন ডাক্তার ও নার্সরা আতঙ্কে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামস উদ্দিন এই নারীর শরীরে করোনা সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চি করে জানান, ওই নারীর পজেটিভ ধরার পর আমরা তার সান্নিধ্যে আসা গাইনী চিকিৎসক ও তিনজন নার্সকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছি। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা যারা এই চিকিৎসক ও নার্সদের সান্নিধ্যে এসেছি তাদেরও নমনুা সংগ্রহ করে টেস্ট করা হবে। তিনি বলেন, ওই নারীর পরিবার তথ্য গোপন করায় দুটি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সসহ অনেক মানুষ এখন ঝুকিতে আছেন।