প্রতিনিধি ১০ এপ্রিল ২০২০ , ১০:১২:২৯ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মলয় বিকাশ দাসের জেঠাতো ভাই হিমাংশু দাসের নিজস্ব শশ্মানের জায়গাতে তিনমাস পূর্বে জোড়পূর্বক শশ্মান নির্মাণের চেষ্টা চালায় গ্রামবাসী। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ মলয় বিকাশ ও তার কাকাদের সাথে গ্রামবাসীর বিরোধ চলে আসছিল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মলয় বিকাশের ভাই মানিক দাস হাওর থেকে গরুর জন্য ঘাস কেটে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় তাকে একা পেয়ে গোপালপুর গ্রামের প্রতিপক্ষ সূর্যকান্ত দাস ও প্রতাপ রঞ্জন দাসের নেৃতৃত্বে শত শত যুবকরা আটকিয়ে ব্যাপক মারপিঠ করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে সূর্যকান্ত দাস ও প্রতাপ দাসের নেতৃত্বে গ্রামের হাজারো লোকজন দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র,রামদা,বল্লম,ছুলফি নিয়ে মলয় ও তার কাকাদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাঠ চালায়। এ সময় মলয় বিকাশের কাকিমা গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা খেলা রানী সরকার নিজ বাড়িতে ঠাকুর ঘরে প্রার্থনা করার সময় প্রতিপক্ষ হামলাকারী একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সূর্যকান্ত দাস ঐ শিক্ষিকাকে লক্ষ্যে করে বল্লম দিয়ে গলার পাশে আঘাত করলে বল্লমটি গলার নীচে এ পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হলে তিনি প্রচন্ড রক্তখননের পর সংঞ্জাহীন হয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক আত্মস্বজনরা তাকে গুরুতর অবস্থায় দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দ্রæত সিলেট পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ঐ শিক্ষিকাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এ ঘটনায় আরো ৬জন সহ মোট ৭ জন আহত হন। আহতরা হলেন মলয়ের ভাতিজা দিলীপ দাসের ছেলে কলেজ পড়–য়া ছাত্র স¤্রাট দাস(২১),জুয়েল দাস(৩২), জেঠিমা মতৃ রমাকন্ত দাসের স্ত্রী প্রেমলতা দাস(৭০),উমেশ দাসের ছেলে যুগল দাস(৩২) তার সহোদর মনিল দাস(৪০),মহেন্দ্র দাসের ছেলে মানিক দাস(৩৪) প্রমুখ।
এ সময় হামলাকারীরা মলয় বিকাশ দাস ও তার কাকাদের বাড়িঘরে ভাংচুর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাপয়সাসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মামামাল লুটপাঠ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে ময়ল বিকাশ দাস জানান গ্রামের সূর্যকান্ত দাস ও প্রতাপ দাস খুবই ক্রিমিন্যাল প্রকৃতির মানুষ তাদের নেতৃত্বে গ্রামের নিরীহ মানুষজন সব সময়ই অসহায় আছেন। তাদের অত্যাচার ও নির্যাতনে সাধারন মানুষজন অতিষ্ট। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকার ও প্রশাসনের নিকট দাবী জানান।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে আগে ও একটি মামলা হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়াসেনগুপ্তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে ও তিনি রিসিভ না করা তার বক্তব্যে জানা সম্ভব হয়নি।