প্রতিনিধি ৯ এপ্রিল ২০২০ , ১০:৪২:৪৩ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। সরকারি নীতিমালার তোয়াক্ষা না করেই সুনামগঞ্জের পর্যটন হিসেবে খ্যাত রুপের রানী তাহিরপুরের যাদুকাটা নদী থেকে শুরু করে বিন্নাকুলির গড়খাটি,ঢালারপাড় এলাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি প্রভাবশালী ভূমিখোকো চক্র রাতের আধাঁরে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলনের মহোৎসব। শত শত শ্রমিক বোমা মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করায় করোনা ভাইরাসের ঝুকিও বাড়ছে।
স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই রাতের আঁধারে যাদুকাটা নদীসহ আশপাশের কয়েকাট স্পটে চলছে নদীর তীর কেটে ও বড় বড় গর্ত করে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে গড়কাটি গ্রামের শফিক মিয়া,কিরণ বাবু ও বুরহান উদ্দিন,বিল্লাল ও জামাল উদ্দিনসহ একটি প্রভাবশালী চক্র।
বালু খেকো শফিকের নেতৃত্বে গড়কাটি ব্রিজের দক্ষিণে প্রায় ৩৫টি গর্ত করে রাতের আঁধারে শত শত শ্রমিক নিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি টাকা।
এসব গর্ত থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনের মহোৎসব স্থানীয়রা যেমন জানেন, প্রশাসনও এভাবেই অবগত আছেন। মাঝে মাঝে প্রশাসনের লোক দেখানো অভিযান হলেও থেমে নেই বালু পাথর উত্তোলনের কাজ।
জানা যায়, দিনের বেলায় এ বালু মহল ফাঁকা থাকলেও রাতের বেলায় শত শত শ্রমিকের ঢল নামে। আর এসব শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করছেন বালু খেকো গড়কাটি গ্রামের মৃত সবুজ মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া ও প্রভাবশালীরা।
এদিকে লাওড়েরগর এলাকায় বালু উত্তোলনকারীরা প্রতি সেইভের নৌকা থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। এবং রাতের আঁধারে নদীর পাড় কাটারও নেতৃত্বে দিচ্ছেন ঢালারপাড় সাইদ ভান্ডারীর ছেলে সুমন, ঢালারপাড় গ্রামের ইছু মিয়ার ছেলে রুহুল। তার পাশেই মানিগাঁও এলাকায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে নোয়াজ আলী মেম্বার।
যাদুকাটা নদীর ঝালরট্যাক এলাকায় বালু ও পাথর উত্তোলন করছে ঘাগটিয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম মড়ল ও মনির উদ্দিন মেম্বারের লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যাদুকাটা নদীর দুই পাশে বোমা মেশিন দিয়ে গর্ত করে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। প্রশাসন নামমাত্র লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও তা বন্ধ হচ্ছেনা। রাতের আঁধারে শত শত শ্রমিকরা বিশ্বব্যাপী মরণঘাতী করোনা ভাইরাস উপক্ষো করেই কাজ করেই চলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রাতে বালু মহালে ঢল নামে শ্রমিকদের। যেকোন সময় করোনা আক্রান্তের আশঙ্কা করছি আমরা। প্রশাসনের উচিৎ আরো নজরদারী বাড়ানো।
এ ব্যাপারে শফিক মিয়া বলেন, আমি বালু মহাল নিয়ন্ত্রণ করিনা। দায়িত্বে আছে গড়কাটি গ্রামরে আব্দুর সাহিদ, কিরণ বাবু। আমার একটি কোয়ারী আছে তাই আমি এদের সাথে আছি।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ২৬ তারিখের পর থেকে কোয়ারীতে সব কর্মকান্ড বন্ধ আছে।