• অনিয়ম / দুর্নীতি

    শাল্লায় মডেল মসজিদ নির্মান কাজে অনিয়মের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতেও চলছে কাজ!

      প্রতিনিধি ২৯ মার্চ ২০২০ , ৬:১৪:৪৪ অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শাল্লা উপজেলায় প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

    করোনা পরিস্থিতির মাঝে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে মডেল মসজিদ নির্মানের অভিযোগ স্থানীয় দের।
    স্থানীয়রা বলছেন করোনা আতঙ্কে যখন চারদিক নিরব টিক এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে মসজিদ নির্মানের কাজ চলছে।তারা আরও জানান করোনা আতঙ্কের কারনে উপজেলায় অন্যান নির্মান কাজ বন্ধ থাকলেও উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মান কাজ চলছে কেন?তাছাড়া নির্মান শ্রমিকরা কোন প্রকার মাস্ক,হ্যান্ড গ্লাবস বা পিপিই ব্যবহার করছে না।এতে করে করোনা ঝুকিতে রয়েছে নির্মান শ্রমিকরা।

    উপজেলা নির্বাহি অফিসার কাজ বন্ধ রাখার কথা বললেও রবিবার সকালে সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়,করোনা আতঙ্কের মাঝেও ২০/৩০ জন শ্রমিক দিয়ে নির্মান কাজ করা হচ্ছে।

    নির্মান শ্রমিকরা কোন প্রকার মাস্ক,হ্যান্ড গ্লাবস বা পিপিই ব্যবহার করছে না।এতে করে করোনা ঝুকিতে রয়েছে নির্মান শ্রমিকরা।

    নির্মান কাজের পাথর এবং বালু পরিষ্কার না করেই ঢালাই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।নিম্নমানের রডে ধরেছে মরিচা।

    মডেল মসজিদ নির্মান প্রকল্প এলাকায় পাওয়া যায়নি কোন ইঞ্জিনিয়ার বা ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের কোন লোককে।শ্রমিক সরদারের নিয়ন্ত্রণেই চলছে পুরো কাজ।নির্মান কাজের দায়িত্বে থাকা লোকজনের কাজে কাজের আদেশ বা মসজিদের ড্রয়িং দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে পারেন নি।

    জানাযায়, মডেল মসজিদ নির্মান কাজে ব্যবহৃত পাথরগুলো নিম্নমানের বলে এর আগে শাল্লা থানার একটি বভন নির্মানের কাজে থেকে বাতিল করা হয় আর সেই পাথর দিয়ে এখন চলছে মসজিদ নির্মানের কাজ।

    স্থানীয় ব্যবসায়ী এরশাদ মিয়া বলেন, নিম্নমানের মালামাল দিয়ে মসজিদ নির্মান কাজ চলছে।মসজিদ নির্মানে এমন অনিয়ম মেনে নেয়া যায় না।

    স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ূন,আব্দুল আজিজ,ফজর আলীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, নির্মান কাজে অনিয়ম দেখে আমার বাঁধা দিয়েছি।কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মাঝে নিন্মমানের মালামালগুলো চালিয়ে দেওয়া জন্যই তারা তারাহুরা করে কাজ সেরে ফেলছে।

    এব্যপারে শাল্লা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি আমার প্রতিনিধি পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি এবং ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজান না আসা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content