প্রতিনিধি ২৮ মার্চ ২০২০ , ৩:০৬:৫৯ অনলাইন সংস্করণ
মাহমুদ আহসান হাবিব,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।। এক ইউপি সদস্যকে জন সম্মুখে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জের এসিল্যান্ডের (সহকারি কমিশনার ভুমি) বিরুদ্ধে। করোনা সচেতনতা অভিযানে বেরিয়ে ওই ইউপি সদস্যকে পেটান তিনি।
শুক্রবার সন্ধায় পীরগঞ্জ উপজেলার কালুপীর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত ঐ ইউপি সদস্য হাসপতালে চিকিৎসা নিয়ে এর বিচার চেয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ
ঘটনায় এসিল্যান্ড নিজের দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, মেম্বারকে আরো পেটানো উচিৎ ছিল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে দেওয়া অভিযোগ এবং এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলার কালুপীর বাজারে জন সমাগম ঠেকাতে শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত গ্রাম পুলিশ ও থানার এস আই রেজাউল আলম সহ সঙ্গীয় ৬ জন পুলিশ ফোর্স নিয়ে কাজ করেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য গাজিউর রহমান। সন্ধার দিকে তারা বাজারের একটি ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনে খাচ্ছিলেন। এ সময় এসিল্যান্ড (সহকারি কমিশনার ভুমি) তরিকুল ইসলাম গাড়ি নিয়ে সেখানে যান। এ সময় ঐ ইউপি সদস্য এগিয়ে আসলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন এসিল্যন্ড। এসময় পুলিশ সদস্যরা এসিল্যান্ডকে জানান, তিনি ঐ এলাকার
ইউপি সদস্য, তাকে মারছেন কেন। এটা শুনার পরও এসিল্যান্ড তাকে পেটাতে থাকে। একটি লাঠি ভেঙ্গে গেলে আরো একটি লাঠি নিয়ে ইউপি সদস্যকে পেটান এসিল্যান্ড এবং গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। পরে উপস্থিত পুলিশ
সদস্যরা ঐ ইউপি সদস্যকে রক্ষা করেন। স্বজনরা রাতেই গাজি মেম্বারকে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।
গাজি মেম্বারের অভিযোগ, ইউপি সদস্য পরিচয় পাওয়ার পর তাকে অরো বেশি করে পেটান এসিল্যান্ড। মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।
এ বিষয়ে নিজের দায় এড়িয়ে এসিল্যান্ড তরিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় দাড়িয়ে খাচ্ছিলেন ঐ মেম্বার। এ জন্য তিনি নন, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে সেখান থেকে চলে যেতে ফোর্স করেন। এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলেন, মেম্বারকে আরো পেটানো উচিত ছিল। তারা কোন কাজ করে না। সারাদিন লোকজন নিয়ে বাজারে বসে থাকে।
তাদের বেশি করে পেটালেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
ঠাকুরগাও জজ কোর্টের আইনজীবি আবু সায়েম বলেন, কাউকে মারপিট করার কোন অধিকার নেই এসিল্যান্ড বা কোন কর্মকর্তার। যদি কেউ করে থাকেন তবে সেটা হবে বে আইনী এবং দন্ডনীয় অপরাধ।