হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির কারণে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চিকিৎসকরা সঠিক সময়ে হাসপাতালে আসেন না।
চিকিৎসকদের পরিবর্তে জরুরি বিভাগে রোগী দেখেন সুইপার ও স্টাফরা। হাসপাতালের অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে হবিগঞ্জ জেলার ৩ সংবাদ কর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চুনারুঘাটে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণকাজ শুরু হয়। সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালের কাজ সম্পন্ন হয় ২০০৯ সালের জুনে। নির্মাণকাজ শেষ হলেও হাসপাতালটি চালুর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি কর্তৃপক্ষ। মূল ভবন ছাড়াও সার্জন, ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য তৈরি করা হয় আরও তিনটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবন।
ভবন তৈরির পর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সার্জন, ডাক্তার, নার্সসহ কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়নি ৯ বছরেও। ফলে চালু করা যাচ্ছে না ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতাল। এমনকি নতুন ভবনটি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পুরাতন ভবনে অপরিচ্ছন পরিবেশে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে রোগীদের। আর এখনও হাসপাতালটি ৩০ শয্যা থাকলেও গেটের সাইনবোর্ডে শোভা পাচ্ছে ৫০ শয্যার হাসপাতাল।
অন্যদিকে, জনবল নিয়োগ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বরাদ্দ না দেয়ায় ৫০ শয্যা চালু করা যাচ্ছে না। বরাবরই এমন অভিযোগ দিয়ে আসছেন কর্মকর্তারা। কিন্তু প্রভাকরের অনুসন্ধানে ভেরিয়ে এসেছে অন্য তথ্য।