• সুনামগঞ্জ

    জগন্নাথপুরে শ্রীধরপাশার গ্রামীণ রাস্তা সংস্কার জরুরী

      প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ৯:৪৫:৫৫ অনলাইন সংস্করণ

    মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরের শ্রীধরপাশা গ্রামের একটি রাস্তার উপরে বর্ষা মৌসুমে পানি উঠে যাওয়ার পাশা-পাশি পানির স্রোতে রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার ফলে শতাধিক পরিবারের স্কুল -কলেজগামী ছাত্র/ছাত্রী সহ জনসাধারণ দীর্ঘ দিন ধরে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন ।রাস্তাটি টিকিয়ে রাখতে এই শুকনো মৌসুমে মাটি ভরাট সহ গার্ডওয়াল একান্ত জরুরী। রাস্তাটি সংস্কার হবে হচ্ছে প্রতিনিয়ত আশার বানী শুনছেন এলাকাবাসী।

    সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর- তেলিকোনা সড়ক সংলগ্ন শ্রীধরপাশা দারুলউলুম মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী পশ্চিম এলাকা থেকে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত শ্রীধরপাশা গ্রাম নিবাসী প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল মতিন কুটি মিয়ার বাড়ীর সামন দিয়ে বড়খাল নামক একটি খালের কুল ঘেঁষে ছুটে চলা ডাউকা
    নদীর তীর পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য গ্রামীণ রাস্তা। শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বর্যায় চরম ভোগান্তি।
    স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি পানিতে টইটম্বুর আর কোথাও কোথাও কাদা-জল এবং বাঁশের সাঁকো থাকে।রাস্তার বেহাল দশার কারনে স্কুল -কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রী জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে পড়েন।
    এই রাস্তার করুন দশা ও উত্তরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রীধরপাশা গ্রাম নিবাসী মোঃ এমরান মিয়া,মোঃ আফতর মিয়া ও নজরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে তাদের মতামত ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, হেমেন্ত আর বর্ষা মৌসুমে সারা বছরই এই রাস্তা দিয়ে রাস্তা পার্শ্ববর্তী শতাধিক পরিবারের স্কুল -কলেজ ও মাদ্রাসাগানী ছাত্র – ছাত্রী সহ লোকজন
    এমনকি অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ কাদা-পানি মারিয়ে চলাচল করেন। রাস্তাটি প্রত্যেক বর্ষা মৌসুমে কাদা-মাটি আর পানিতে টইটম্বুর থাকে।প্রতি বছর হেমন্ত মৌসুমে নিজ অর্থায়নে গ্রামবাসী রাস্তায় মাটি ফেললেও বর্ষার জলে ভেসে যায়।
    তারা আরো বলেন, ডাইকা নদীর সাথে সংযুক্ত বড়খাল নামক খালটির কুল ঘেঁষে এই রাস্তাটি হওয়ায় প্রতি বছর পানির স্রোতে ভেসে যায় অর্থাৎ ভেঙে যায়।জনসাধারণের দুর্ভোগ নিরসনে এই শুকনো মৌসুমে রাস্তার ওপর মাটি ফেলে সংস্কার করার পাশা-পাশি রাস্তাটি রক্ষাকল্পে ৯০০ ফুট এলাকা জুড়ে গার্ডওয়াল একান্ত জরুরী। এক প্রশ্নের জবাবে তাঁহারা আরো বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের ধারস্থ হলেও কেবল আশার বানী শুনে আসছি।কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
    বিদায় এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

    আরও খবর

    Sponsered content