প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ৩:২৭:২০ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরের জৌলুস হারানো পাইলগাঁও জমিদার বাড়িকে সংরক্ষিত পুরাকৃতি ও পর্যটন স্থান হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেছেন।
জানাযায়, বাংলাদেশ সরকারের সংরক্ষিত পুরাকীর্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কাজের অংশ হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোঃ আতাউর রহমান-এঁর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ১২ ই ফেব্রুয়ারি রোজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার অন্যতম পাইলগাঁও জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার মোঃ শাহীন আলম, গবেষণা সহকারী মোঃ ওমর ফারুক, সার্ভেয়ার চাইথোয়াই মার্মা, পটারী রেকর্ডার মোঃ ওমর ফারুক, অফিস সহায়ক লক্ষণ দাস। এসময় পাইলগাঁও ইউনিয় পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহান আহমদ, ইউপি সদস্য আবু বকর মধু, উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মোনায়েম খান সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দলের প্রধান আঞ্চলিক পরিচালক ড.মোঃ আতাউর বলেন, জমিদার বাড়িটি জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষন যোগ্য। এটি আরো আগে করা উচিত ছিল। বাড়িটি সংস্কার ও সংরক্ষণে আমরা পদক্ষেপ নেব। তিনি বলেন, বাড়িটি ঘিরে প্রত্নতত্ত্ব পর্যটন বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যাক্রমে এখানে তৈরী করা হবে জাদুঘর। এখানকার মানুষের জন্য জমিদার বাড়ি পর্যটক এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠবে। আলোকিত হয়ে উঠবে এলাকা। এজন্য সব পর্যায়ের নেতৃবৃৃন্দের পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি ) মোঃ ইয়াসির আরাফাত বলেন, প্রাচীন পুরাকীর্তির অন্যতম নিদর্শন পাইলগাঁও জমিদার বাড়ীটি এ অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্যের নির্দেশন। বাড়িটি সংরক্ষন ও পুরোর্কীতি এবং পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে চিঠি প্রেরণ করা হয়। যার প্রেক্ষিতে জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করেছেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রতিনিধি দল।
উল্লেখ্য , প্রায় সাড়ে ৫ একর ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত তিন শত বছরেরও বেশী পুরনো পাইলগাঁও জমিদার বাড়ীটি এ অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্যের নিদর্শন । এ জমিদার পরিবারের শেষ জমিদার ব্রজেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন সিলেট বিভাগের কংগ্রেস সভাপতি এবং আসাম আইন পরিষদের সদস্য। এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্যমন্ডিত বিশাল অট্টালিকা সহ জমিদার বাড়িরটি অযত্ন অবহেলায় তার জৌলুস হারাতে বসেছে।