• অনিয়ম / দুর্নীতি

    সুনামগঞ্জে বিদেশ নেওয়ার নামে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল আব্দুস শহীদ ও তানিম

      প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ১২:৩৮:৩৯ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বিদেশ নেওয়ার নামে ৪ব্যাক্তির পাসপোর্ট ও এক লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে দালাল মো: ইয়াহিয়া আহমদ(তানিম) ও তার সহযোগী বিদেশ ফেরতগামী মামা আব্দুল শহিদ। দালাল গংরা জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের বিছনা নতুন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
    জানা যায় গত ১বছর আগে বিদেশ নেওয়ার নামে দালাল ইয়াহিয়া ও তার মামা আব্দুস শহিদ দিরাই উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিন, দিরাই উপজেলার হিরণ মিয়া, আঃ মুহিত ও কুমিল্লার সাকিল আহমদসহ চার ব্যাক্তিকে বিদেশে (ইরাক) পাঠানোর কথা বলে তাদের পাসপোর্ট ও নগদ একলাখ ৮০হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বিদেশ নিবে নিবে বলে প্রায় ১ বছর ধরে সময় কালক্ষেপন করতে থাকে ঐ দালালচক্রটি। ইতিমধ্যে ইরাকে অবস্থানকারী দালাল আব্দুস শহীদ ও প্রবাস থেকে নিজ বাড়িতে চলে এসেছেন বলে জানা যায়। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ আব্দুল হাকিম ও আব্দুল মুহিত গংরা দালালদের হাতে দেয়া তাদের পাসপোর্ট ও টাকা উদ্ধারের জন্য ২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারী ৫নং ভীমখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়া উভয়পক্ষকে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য বার বার আহবান জানালেও দালালচক্রের সদস্যরা উপস্থিত হয়নি। বরং তারা উল্টো ক্ষতিগ্রস্থদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ হুমকি দামকী দিয়ে আসছেন বলে জানা যায়।
    জানা যায় সকলের কাছ থেকে পাসপোর্ট নেওয়া হয়, বিদেশ(ইরাক) পাঠানোর জন্য তার মাধ্যে হিরণ মিয়ার কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা হাওলাতের নাম করে এবং প্রত্যেকের কাছ থেকে মেডিকেল করার নাম করে ২০হাজার টাকা করে মোট এক লক্ষ ৮০হাজার টাকা নেয় দুই দালাল ইয়াহিয়া তানিম ও তার মামা শহিদ। বিদেশ পাঠাবে বলে ঐ চার ব্যক্তিকে বার বার ঢাকায় নেওয়া হয় বিদেশ পাঠানোর নামে। ঐ চার ব্যাক্তি যখন জানতে পাড়লো তারা দালালের খপ্পড়ে পড়ে গেছেন। সাথে সাথে পাসপোট ও টাকা ফেরত চাইলে দুই দালাল টাকা ও পাসপোট ফেরত না দিয়ে তাদের উল্টো হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
    এ ব্যাপারে ইরাক ফেরৎ দালাল মোঃ আব্দুস শহীদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে বিদেশের নামে পাসপোর্ট ও টাকা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও সাংবাদিক পরিচয় জেনে ফোনের লাইন কেটে দেন।
    এ ব্যাপারে দালাল ইয়াহিয়া আহমদ তানিম টাকা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান,যে তার মামা আব্দুস শহীদ ইরাক থেকে দেশে এসেছেন এবং তিনিই সমস্যার সমাধান(মামা) করবেন।
    এ ব্যাপারে ৫নং ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়া অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান,আমি উভয়পক্ষকে আমার অফিসে বার বার আহবান করেছি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থরা আসলেও অভিযুক্তরা আসেননি।

    আরও খবর

    Sponsered content