• মানববন্ধন

    দোয়ারাবাজারে চুর সিন্ডিকেটের হোতা ফকর উদ্দিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনঃ উল্টো এলাকাবাসীর নামে মামলা

      প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ১:৪৩:২৭ অনলাইন সংস্করণ

    এম এ মোতালিব ভুইয়াঃ দোয়ারাবাজার উপজেলার বগুলা ইউনিয়নের এক আতংকের নাম ফকর উদ্দিন। এলাকায় দিনরাতের তারতম্য না করে অবাধে চুরি করো যাচ্ছে এই ফকর উদ্দিন আহমেদ উরুফে ফজর উদ্দিন। কখনো মামলার ভয় দেখিয়ে, অস্ত্র ধরে কিংবা অত্যাচার করে চুরি করে নিচ্ছে গ্রামের অসহায় মানুষের টাকাকড়ি। সে উপজেলার বগুলা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাশিম উদ্দিনের ছেলে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ২৪ জানুয়ারী গভীর রাতে উপজেলার বগুলা ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র এখলাছ মিয়ার বসতঘর থেকে ৪টি মোবাইল চুরি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছে ফকর উদ্দিন ।গ্রামবাসীর হাতে উত্তম-মধ্যম খাওয়ার পর এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের হাতে হস্থান্তর করেন অতঃপর থানা থেকে ছাড়া পেয়ে অভিযুক্ত চোর ফকর উদ্দিন মারধর করার অভিযোগে (যাদের বাড়ীতে চুরি করেছে তাদের মধ্য থেকে )৮জনকে আসামি করে আমলগ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,দোয়ারাবাজার জোন,সুনামগঞ্জে মামলা করেছেন। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।প্রায় প্রতিদিনই বগুলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় অসংখ্য চুরি সংগঠিত হচ্ছে।ল্যাবটব,মোবাইল,সোলার প্যানেল,ব্যাটারী ,স্বণ,রোপা,কম্বল, গৃহপালিত পশু- পাখি, হাঁস, মুরগি, কবুতর, গাছের পেঁপে, ধান,নগদ টাকাসহ আরো নানা ধরনের শস্যও চোরের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না ।শুক্রবার(৭ ফেব্রুয়ারী)সকাল ১১টায় বগুলা ইউনিয়নবাসী চোর ফকর উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ও গ্রামবাসীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে বগুলা ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী পয়েন্টে শতশত ভুক্তভুগী এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বগুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল , বগুলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আহমদ আলী আপন, ,বগুলা রুসমত আলী রাম সুন্দর স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি মিলন খান, বগুলা ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন, আহমদ আলী লিল মিয়া, ওয়াদুদ ভুঁইয়া ,আকবর আলী তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা সুরুজ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা হারুন,মুক্তিযোদ্ধা হালিম, মুক্তিযোদ্ধা আজিজ ,সমাজ সেবক আবু বকর সিদ্দিক,সাইফুল ইসলাম,শাহজান কবির ইকবাল,ডাক্তার হাফিজুল ইসলাম, জামাল মিয়া,আব্দুল করিম,ওয়াদুদ মিয়া,আব্দুর রহিম,আমিন উল্ল্যাহ,আব্দুল বারেক,গোলাম মোস্তফা,তাজুল ইসলাম,আল আমিন,নাজিম উদ্দিন,সুমন মিয়া,আব্দুল হাই,ফাহাদ মিয়া,ইব্রাহীম মিয়া,আব্দুল লতিফ,আব্দুল কুদ্দুছ,আজিম উদ্দিন,করম আলী প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন,আমরা চোর ফকর উদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে দোয়ারাবাজার থানার ওসি সাহেবের হাতে তুলে দিয়েছিলাম ওসি সাহেব ভাল হয়ে যাওয়ার শেষ সুযোগ দিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু সে এসে যাদের বাড়ীতে চুরি করলো যারা প্রতিবাদ করলো তাদের নামে মামলা দিল ,এলাকায় চুরি করবে আবার গ্রামবাসীর নামে মামলা দিবে এই সাহস কোথায় পেল? এখন থেকে চোর ফকর উদ্দিনকে যেখানে পাব গ্রাম বাসীর সহযোগিতায় তাকে ধরে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন,বক্তারা বলেন ফকর উদ্দিনের আতংকে গ্রামের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছেনা। প্রকাশ্যে মদ, ইয়াবা, হিরোইন সেবন করে এবং গ্রামের যুবক ছেলেদেরকে নেশার পথে নেয়ার চেষ্টা করে। তার শতশত চুরির রেকর্ড রয়েছে।তার নামে ইয়াবাসহ একাধিক মামলা রয়েছে,বক্তারা বলেন এই চোর সিন্ডিকেটটি কে বা কারা পরিচালনা করছে তা প্রশাসন সহ কেউই আঁচ করতে পারছে না। তবে চুরির বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বগুলা ইউনিয়নবাসী। তারা আরো বলেন বেশ কিছুদিন থেকে কাঠালবাড়ি সহ আশে পাশে আবারো চুরির মত ঘটনা ঘটে চলেছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় বসবাসকারীরা। ছিচকে চোর গুলো বেপরোয়া হয়েছে। তবে রাতের অন্ধকারে চুরির থেকে দিনে চুরির ঘটনা বেশী ঘটছে বলে জানা গেছে। মানুষ না থাকার সুযোগ স্বর্ণালংকার, নগর টাকা, আসবাব পত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও চোর ফকর উদ্দিনের বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জনসাধারণ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
    এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃআবুল হাশেম বলেন,আমরা জেনেছি ফকর উদ্দিন প্রখ্যাত চোর আর চোরের পক্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই,বগুলা ইউনিয়নে সংগঠিত চুরির ঘটনা ও এলাকাবাসীর চুর ফকর উদ্দিনের বিরুদ্বে মানববন্ধন সম্পকে আমরা অবগত হয়েছি,অভিযোগের প্রেক্ষিত্বে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content