প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ৪:৩৪:০৯ অনলাইন সংস্করণ
এম এ মোতালিব ভুইয়াঃ দোয়ারাবাজারে ১৩ শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্তকমিটি গঠন করেন।তদন্ত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন কুমার সানা ,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহেরউল্ল্যাহ ও মুহিবুর রহমান মানিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সলিলেন্দু কুমার তালুকদার।
প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় শিক্ষার্থীরা বাদী হয়ে প্রতাবপুর সিদ্দিকীয়া আকবর (রাঃ) লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল মুকিত পীরকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করলে তিনি এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
প্রসঙ্গত, ৩ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দাখিল পরীক্ষায় দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর সিদ্দিকীয়া আকবর (রাঃ) লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল মুকিত পীর ও কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির কারনে এবার দাখিল পরীক্ষা দিতে পারছে না ১৩জন ছাত্র-ছাত্রী। শিক্ষার্থীরা হলেন,বেরী গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র মোঃইয়াহইয়া,মো;আব্দুল মালিকের পুত্র হাফিজ মোঃ লুকমান,মোঃ আরজক আলীর পুত্র মোঃরিয়াজ উদ্দিন,মোঃমাসুক আলীর পুত্র মোঃ ফয়েজ মিয়া,নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত মঃআব্দুর রহিমের পুত্র মোঃ ছানোয়ার হুসেন,কাজি আঃ মুকিত (অত্র মাদ্রাসার সুপার) এর পুত্র কাজি সায়েম আহমদ, নতুন বেরী গ্রামের মাওঃ আবুল লেইছের মেয়ে মোছাঃ ছাদিয়া আক্তার ,প্রতাবপুর গ্রামের কাজি ইকবাল হুসেনের মেয়ে মোছাঃ সাজিরা বেগম ,চৌমুনা গ্রামের মকবুল মিয়ার মেয়ে সুলতানা বেগম ,লকুছ মিয়ার মেয়ে খাদিজা বেগম, প্রতাবপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে মাহবুবা বেগম ,প্রতাবপুর গ্রামের সামিয়ারা ও তানজিনা বেগম।ফরম ফিলাপ করেও দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর সিদ্দিকীয়া আকবর (রাঃ) লতিফিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল মুকিত পীর ও কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির কারনে প্রবেশ পত্র না পাওয়ায় তাঁরা দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।শিক্ষাথীদের টাকা পয়সা জমা না দিয়ে আত্বসাৎ করেন মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মুকিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সোনিয়া সুলতানা বলেন, মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মুকিতকে বহিস্কারের সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিধি মোতাবেক সিদ্বান্ত বাস্থবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অন্য কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্বে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।