শাল্লা প্রতিনিধি- সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাংবাদিকের মূখ বন্ধ করে সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশ না করার জন্য ৩টি পিআইসি দিয়েছে বাপাউবো ও উপজেলা কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটি।
প্রতি বছরই পিআইসি লীলাখেলার মধ্যদিয়ে ওইসব নামদারি সাংবাদিকরা ফায়দা হাসিল করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন বলে রয়েছে স্থানীয়দের মন্তব্য ও আলোচনা-সমালোচনা।
গোপন সূত্রে জানা যায়, ্ওইসব অসাধু সুবিধাভোগী সাংবাদিকরা ২০১৮ সাল থেকেই এ সুবিধা ভোগ করছেন। স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের শাল্লা প্রতিনিধি পি.সি. দাশ (পীযুষ) ও নামধারি সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস সাংবাদিকতার দাপটে এ সুবিধা আদায় করছে।
স্থানীয়রা বলছেন, পি.সি. দাশ (পীযুষ) ও বাদল চন্দ্র দাস প্রকাশিত কালা বাদল এমনই চতুর ও বুদ্ধিমান যে, তারা নিজেদের নামে পিআইসি না নিয়ে নিজেদের ভাই, ভাগ্নে ও ভগ্নিপতির নামে পিআইসি নিয়েছে।
শাল্লা উপজেলা পওর বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভান্ডাবিল হাওর উপ-প্রকল্পের ২৭নং পিআইসি’র সভাপতি নিতেশ দাশ। যিনি সাংবাদিক পি.সি. দাশের আপন ভাই। আবার ছায়ার হাওর উপ-প্রকল্পের ১২৪নং পিআইসি’র সদস্য সচিব জন্টু সরকার ওই সাংবাদিকের ভগ্নিপতি। শুধু তাই নয়, উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে প্রাপ্ত পিআইসি’র তালিকায় ২৭নং পিআইসিতে সভাপতি নিতেশের নাম থাকলেও মোবাইল নাম্বারটি সাংবাদিক পি.সি. দাশের পাওয়া যায়। অন্যদিকে প্রকল্পস্থানে টানানো সাইনবোর্ডে নিতেশের মোবাইল নাম্বারটি রয়েছে। তালিকায় একটি ফোন নাম্বার ও সাইনবোর্ডে আরেকটি ফোন নাম্বার দিয়ে লুকোচুরি খেলা তৈরী করেছে উপজেলা পওর বিভাগ।
এব্যাপারে ২৭নং পিআইসি’র সভাপতি নিতেশ দাশের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অপরদিকে ওই হাওরের ৮৯নং পিআইসি’র সভাপতি মোহন দাস সাংবাদিক কালা বাদলের ভাগ্নে। যার বসত বাড়ি দিরাই উপজেলার পেরুয়া গ্রামে। তিনি ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের একজন চা-বিক্রেতা। ডুমরা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
এবিষয়ে ৮৯নং পিআইসি’র সভাপতি মোহন দাসের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি পিআইসিটি সাংবাদিক বাদলের বলে স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, আমি সাংবাদিক বাদলের ভাগ্নে। আমি নামমাত্র সভাপতি। মামাই সবকিছু।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটাতো উপজেলা কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। আমার বিষয় না। তবে লিখিত অভিযোগ দেন, ব্যবস্থা নেব।