• অনিয়ম / দুর্নীতি

    জামালগঞ্জে নীতিমালা উপেক্ষা করে জলমহালের পানি শুকিয়ে বিষ প্রয়োগ- শতাধিক হাঁসের মৃত্যু

      প্রতিনিধি ২৪ জানুয়ারি ২০২০ , ২:৪৩:২৫ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কৃষকরে সন্তান জাকরি হোসনে নিজের ভাগ্য পরর্বিতন করতে নিজের বাড়িতে এক হাজার হাঁসের একটি খামার গড়ে তুলেছিলেন। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজলোর ফেনারবাক ইউনয়িনরের আলিপুর গ্রামের সদর মিয়ার ছেলে মোঃ জাকির হোসেন নিজ সন্তানের মতো করেই এসব হাঁসের দেখভাল করতেন তিনি।

    প্রতিদিনের মত শুক্রবার দুপুরে র্পার্শ্ববতী গ্রামের ভান্ডা জলমহালের একাংশে হাঁসকে প্রাকৃতিক খাদ্য খাওয়াতে নিয়ে যান। ইজারাকৃত ভান্ডা জলমহালের কিছু অংশ মাছ ধরার জন্য কামধরপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের পুত্র আলীমতুর্জা, আ:গনির পুত্র মুসা মিয়াসহ কয়েক মিলে ফিসিং করার জন্য সাবলীজ নিয়ে নেয়। সরকারি জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী কোন জলমহালে পানি সেচে বিলের তলা শুকিয়ে মাছ ধরার কোন নির্দেশনা নেই। কিন্তু জলমহালের ওই অংশটুকু থেকে মাছ ধরার জন্য তারা সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্বাংগুলি দেখিয়ে মাছ ধরার জন্য জলমহালের সব পানি সেচে একেবারে শুকিয়ে ফেলে। সাবলীজকারীরা মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার জন্য সেই মাটিতে তারা বিষ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুকানো বিলে হাস নেমে মাটি থেকে খাদ্য খাওয়ার পর ঘটনাস্থলেই একের পর এক হাঁস মারা যেতে থাকে। বিলের দায়িত্বে থাকা লোকজন এসব দেখে আতঙ্কে হাঁসগুলো নিয়ে তাৎক্ষণিক বিপাকে পরে যান তারা । এ রির্পোট লিখা র্পযন্ত বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় শতাধিক হাঁস ঘটনাস্থলে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। হাসের মালিক জাকিরের ভাষ্য মতে তার হাস সেই জলমহালে হাস চড়ানোর আগে মাছ ধৃত ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে আপনাদের সেচ কৃত জলমহালে কোন ধরনের বিষ প্রয়োগ করছেন কি-না, কিন্তু তারা জবাবে কোন ধরনের বিষক্রিয়া মাটিতে প্রয়োগ করেনি বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অনেকেই জানিয়েছেন জলমহালে বিষ প্রয়োগ করার কথা হাসের মালিক অনেকবার জিজ্ঞাসা করার পরও তারা অস্বীকার করেছেন ফলে নিরীহ প্রাণীর সঙ্গে এমন শক্রুতায় হতবাক এলাকাবাসী। আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জানিয়ে খামারি জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, কামধরপুর গ্রামের উল্লেখিত কয়েক জন শক্রুতা করে এ ঘৃন্য কাজ করেছে। এ ঘটনায় হাসেঁর মালিক জাকির হোসেন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
    এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিত পণ্ডিত বলেন, জলমহাল সাবলীজ দেওয়া ও পানি শুকিয়ে মাছ ধরা অন্যায়। বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে সরেজমিন পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
    এ ব্যপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলনে এই মুর্হুতে আমি কুমিল্লায় আছি। তবে ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

    আরও খবর

    Sponsered content