প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২০ , ৩:৫১:১০ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আব্দুছ জহুর ব্রীজের উপরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আটকিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে মামলার বাদি মোঃ নুরুল আমীনকে রাস্তায় পেলে পিটিয়ে আহত করেছে মামলার বিবাদি ও তার স্বজনরা । আহত নুরুল ইসলাম জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাওঁ ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের তারিফ উল্ল্যাহ’র ছেলে ।
রোববার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারীরা ও একই গ্রামের আসামী মোঃ আব্দুল হান্নান,তার ছেলে মোঃ জিতু মিয়া , কেরামত আলী(টেম্বই) মিয়ার ছেলে মড়ল মিয়া, আসামী জিতু মিয়া,মড়ল মিয়া,জিতু মিয়ার মামাতো ভাই শিমুলবাকের মাসুদ মিয়া ও দিরাই থানার বদলপুরের মোঃ ফারুক মিয়া গংরা। তাকে এখন জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সন্ধ্যায় মামলার বাদি নুরুল আমীন আদালত থেকে সিএনজি যোগে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে জেলা শহরের আব্দুছ জহুর সেতুর উপর উঠামাত্রই আসামী জিতু মিয়া,মড়ল মিয়া,জিতু মিয়ার মামাতো ভাই শিমুলবাকের মাসুদ মিয়া ও দিরাই থানার বদলপুরের মোঃ ফারুক মিয়া গংরা সিএনজি আটকিয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে কিল ঘুষি মেরে আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা দাড়ালো ছুরা দিয়ে তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। তাৎক্ষনিক জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এ এস আই মনির হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে নুরুল আমীকে উদ্ধার করলেও হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে মামলার বাদি নুরুল আমীন সবর্তমানে তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংঙ্কিত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় আহত নুরুল আমীনের সাথে হামলাকারী জিতু মিয়া ও মড়ল মিয়া গংদের গ্রামের পাশে একটি ডোবা নিয়ে বিরোধ ছিল। এই ডোবাটি গ্রামের কয়েকজন মালিকের নিকট হতে নুরুল আমীন একবছরের জন্য লীজ নেন। তিনি গত ১৪ ডিসেম্বর এই ডোবাতে মাছ আহরণের সময় একই গ্রামের প্রতিপক্ষ জিতু মিয়া ও মড়ল মিয়ার নেতৃত্বে তার স্বজনরা তাকে ডোবায় মাছ আহরণে বাধাঁ প্রদান করেন। এক পর্যায়ে তারা নুরুল আমীনকে ডোবার মধ্যে পেলে দাড়াঁলো অস্ত্র দা,রামদা ও লোহার রড দিয়ে মাথা ও পিঠে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে তার স্বজনরা তাকে সজ্ঞাহীন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় আহত নুরুল আমীন বাদি হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর র্দূগাপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হান্নান,তার ছেলে জিতু মিয়া, তার সহোদর রোকন মিয়া, রিপন মিয়া,ফয়েজ মিয়া, কেরামত আলী(টেম্বই) মিয়ার ছেলে মড়ল মিয়া, শিবলু মিয়া,কাজল মিয়াকে আসামী করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ফয়েজ মিয়াকে গ্রেফতার করে।রোববার অপর আসামী জিতু মিয়া ও মড়ল মিয়া আদালতে হাজিরা দেয়।
এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী সুনামগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এ এস আই মোঃ মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আহত মোঃ নুরুল আমীনকে পরামর্শ দিয়েছি সদর মডেল থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করার জন্য।