মো: বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধি: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১:৫১:৫৬ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের বাঙ্গালগাও গ্রামে সরকারি প্রা: বিদ্যালয়ের ডোবার মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিগত ২৬/১১/২৪ ইং সকাল অনুমান ৬ ঘটিকায় রহমত, আইন উল্লাহ, কমরু,শামীমের লাটিয়াল বাহিনীর সংঘবদ্ধ দলের আক্রমনে ওই বাহিনীর সন্ত্রাসী লোকজন একই গ্রামের চাও মিয়া, গয়াস ও সইফুদ্দীনের লোকজনের উপর অন্যায় ভাবে হামলা করার অভিযোগে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়- সন্ত্রাসী বাহিনীর আঘাতে চাও মিয়ার ২৮ জন লোক গুরুত্বর আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় আহতরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সুনামগঞ্জের সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন, আঞ্জুমিয়া, কয়েস মিয়া, তাবের, জাহাঙ্গীর, হাবিব মিয়া, সইফুদ্দিন, মজর উদ্দিন, ফারুক, বাবলু, সহ আর অনেকেই।
গ্রামের বিভিন্ন কোন্দোলের নেতা, আইন উল্লাহ, রহমত উল্লাহ কমরু মিয়া, রাজা মিয়া, শামীমের চাল বাজীতে প্রতিনিয়তই হতে যাচ্ছে ঝগড়া বিবাদ তাদেরই ভয়নায়ক আচরণে আঞ্জুমিয়া, কয়েস মিয়া, তাবের, জাহাঙ্গীর, হাবিব মিয়া, সইফুদ্দিন সহ আর লোকজন এদের হামলায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ভোর হওয়ার আগে আইন উল্লাহ ও রহমত উল্লাহ এবং রহমান সহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর আক্রমন করে। প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলে তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তারা আক্রমন থামায়নি। পরে দিরাই থানা থেকে পুলিশ, সেনাবাহিনী গিয়ে ঘটনার পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই হামলা কারীদের চারজনকে ঘটনাস্থল থেকে পরে, দল নেতা আইন উল্লাহ সহ আহত বাক্তিদের এক জন চিকিৎসা গ্রহন কালে মোট পাঁচজনকে আটক করে। আইন উল্লাহ, ও রহমত উল্লার নির্যাতনে ওই গ্রামের লোকজন আতঙ্কে আছেন। দিনের পর দিন তার নির্যাতনের সীমানার বাদ ভেঙ্গে চলছে তার অবিরাম নির্যাতন।
সাবেক দিরাই উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বাবু প্রদীপ রায়ের একজন সক্রিয় কর্মী ও কালো ব্যবসার মহারাজ আতিক উল্লার ইশারায় তার লোকজন প্রতিনিয়ত নির্যাতন করছে।
নির্যাতন করার পর মামলা করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ফের ঘটনার দুই দিন যেতে না যেতেই অসহায় অটো রিকশা চালক আরমানকে দিরাই বাসস্ট্যান্ডে অমানবিক নির্যাতন ও প্রাণনাশের জন্য, ওই বাহিনীর সক্রীয় সন্ত্রাসী সাহাবুউদ্দিন, সাফিকুল, নবীর হুসেন, অটো রিকশা চালক আরমানের উপর হামলা করে, হামলার খবর শুনে আরমানের গর্ভধারিণী মা, ব্রেইন স্ট্রোক করেন। তিনি দিরাই সরকারি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অসহায় নিরীহ জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে সন্ত্রাস বাহিনীর ১১৫ জনকে অভিযোক্ত করে মামলা দায়ের করেন। দিরাই থানা মামলা নং ১৮৬ /২৪ এবং ১৪৩/ ৩২৩/৩২৪/৩২৬;৩০৭/৩৭৯/১১৪/১৮৭/২৪ ধারায় মামলা দায়ের করে, ঘটনাস্থলে পুলিশের হাতে আটক হওয়া আইন উল্লাহকে মুটোফোন যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, আমি ঘটনার দিনে আমি একজন ইউপি চেয়ারম্যান কে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।