প্রতিনিধি ১৯ জানুয়ারি ২০২০ , ৯:৫৯:০১ অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় স্ত্রী-শাশুড়িসহ চারজনকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতক নিজে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।ঘাতকের দা’য়ের কোপে মারাত্মক আহত একজনকে অাশংকাজনক অবস্হায় সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারী) ভোরে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা পাল্লাতল চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। চা শ্রমিক নির্মল কর্মকার (৩৮) শশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটায়।
হত্যার শিকার চারজন হলেন নির্মলের স্ত্রী জলি ব্যানার্জি (৩১), শাশুড়ি লক্ষ্মী ব্যনার্জি (৬০) প্রতিবেশী বসন্ত ভৌমিক (৬০) বসন্তের মেয়ে শিউলি ভৌমিক (১৫)।
ঘাতক নির্মল প্রথমে তার স্ত্রীকে ‘খাসিয়া দা’ দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।মেয়েকে বাচাঁতে শাশুড়ি এগিয়ে এলে তাকে এলোপাথাড়ি কুপায়।চিৎতকার শুনে দুই প্রতিবেশী এগিয়ে এলে তাদের কে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে খুনি ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে নির্মল নামে ওই যুবক চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। নির্মল ছাড়া চারজনই চা বাগানের শ্রমিক। এঘটনায় অাহত কানন বক্তাকে আংশকা জনক অবস্তায় সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতানে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্মলের বাড়ি এই এলাকায় নয়। বছর খানিক আগে জলি ব্যানার্জি র’ সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকে তিনি শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করছিল।
খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ, জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পিবিআই, সিআইডির পৃথক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্হল থেকে পুলিশ রোবার বেলা ১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ।
বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, ঘাতক নির্মল কর্মকার দেড় বছর আগে জলি বুনাজিকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিল। সে আমার বাগানের কোনো চা শ্রমিক না। এর আগে সে পাশ্ববর্তী আল্লাদাদ চা বাগানে ছিল।