• আইন আদালত/সাজা

    সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নানের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

      কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৬:৩১:৪৯ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জে আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধের(দ্রুত বিচার) মামলায় আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে রাতে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছিল।

     

    শুক্রবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার ফারহান সাদিকের আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক বাদিপক্ষের শোনানী শেষে তার জামিন না মঞ্জর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ প্রদান করেন।

     

    গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর(রোজ বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশের একটি দল জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ হিজল বাড়ি থেকে মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ সদর থানায় নিয়ে আসা হয় এবং রাতে তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন।

     

    তিনি সুনামগঞ্জ-৩ (শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) আসন থেকে কয়েকবার এমপি নিার্বচিত হন এবং বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তিনি দুইবার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন এম এ মান্নান।

     

    উল্লেখ্য গত ৪ আগষ্ট সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময়ছাত্রজনতার সাথে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের চুর্তরমুখী সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউপির এরোয়াখাই গ্রামের নাজির আহমদের ছেলে জহুর আলী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়।

     

    এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জহুর আলী বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসাপতালে চিকিৎসাধীন থাকলে ও তার বড়ভাই হাফিজ আহমদ গত ২ সেপ্টেম্বর বাদি হয়ে আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী(দ্রুুত বিচার) আদালত সুনামগঞ্জ জোনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটকে প্রধান এবং সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে ২নং আসামী করে এবং ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

     

    এই মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

     

    মামলায় বাকি আসামীরা হলেন, সাবেক এমপি মহিবুর রহমান মানিক,সাবেক এমপি এড. রনজিৎ চন্দ্র সরকার,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নোমান বখত পলিন,সাবেক পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, জেলা যুবলীগের আহবায়ক খায়রুল হুদা চপল, রেজাউল করিম শামীম, সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, মোঃ সালেক মিয়া,জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস,সাবেক ওসি খালেদ চৌধুরী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর এ পিএস হাসনাত হোসাইন, তার আপন সহোদর মোঃ নুর হোসেন, সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক রিয়াজ আহমেদ, মজ্ঞুর আহমদ খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দুর্নীতিবাজ শংকর চন্দ্র দাস, রেজাউল আলম নিক্কু, হাজী আবুল কালাম, অমল কান্তি কর ও ছাত্রলীগের সভাপতি দুর্নীতিবাজ অর্থ লুটপাঠকারী দিপংঙ্কর কান্তি দে সহ আরো অনেকেই।

     

    এছাড়া শান্তিগঞ্জের আরেকদুর্নীতিবাজ পঞ্চম শ্রেণীপাশ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকা কামিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে এখন লন্ডনে পাড়ি জমিয়েছেন।

     

    তেমনি সুনামঞ্জের অনেকনআওয়ামীলীগ নেতাজর্মীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুটপাঠ করে অটাল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুললেন।

     

    এই বিষয়গুলো বর্তমান সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন সুশীর সমাজের প্রতিনিধিরা।

    আরও খবর

    Sponsered content