• সুনামগঞ্জ

    সুনামগঞ্জে আসামীগণ কর্তৃক বাদীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

      আল হেলাল, সুনামগঞ্জ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৭:৩৩:৫৫ অনলাইন সংস্করণ

    গুরুতর জখমী স্ত্রী,স্বামী ও সন্তানসহ একই পরিবারের ৩জন।

    সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে প্রতিপক্ষের হাতে এক পরিবারের ৩ জনের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২ সন্ত্রাসীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।

    সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহিরপুর কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের আইনের ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় জখমী মোঃ সুজন মিয়ার দায়েরকৃত জিআর ৯৬/২০২৪নং মামলায় জামিনের আবেদন বাতিল করে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট রবিউল লেইস রোকেশ। আসামীরা হলেন তাহিরপুর উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের দুই পুত্র আজিজুল ইসলাম (৪২) ও শিক্ষক মুস্তাহার মিয়া (৪৮)।

    মামলার বিবরণে প্রকাশ,পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৪ জুন সোমবার রাত ১১টায় গ্রামের মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী রাস্তায় একা পেয়ে হাতে দা, লাঠি রামদা ও সুলফি সহকারে প্রথমে গ্রাম্য প্রতিপক্ষ আয়াতুল মিয়ার পুত্র সুজন মিয়া (২৩) এর উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

    সংবাদ পেয়ে পুত্র সুজন মিয়াকে রক্ষার জন্য তার পিতা আয়াতুল মিয়া (৫০) ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে ঐ সন্ত্রাসীরা তাকে মাথায় হাতে ও পিটে রামদাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপিয়ে গুরুতর জখম করে।

    এ সময় সন্ত্রাসীদের কবল থেকে স্বামী ও সন্তানকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আয়াতুল মিয়ার স্ত্রী সাইদুন নেছা (৪২) কেও মারপিটক্রমে আহত করার পাশাপাশি ঐ গৃহিনীর দুটি দাত ভেঙ্গে ফেলে। গুরুতর জখমী স্ত্রী,স্বামী ও সন্তানসহ একই পরিবারের ৩জনকে ঘটনার পরপরই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

    সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় আসামীরা জেলা সদর হাসপাতালের দুর্নীতিবাজ ডাক্তার ও স্টাফদের মোটা অংকের টাকার বাধ্য বশিভূত করে পরপর ৩ বার গুরুতর জখমী আয়াতুল মিয়াকে উপযুক্ত চিকিৎসা না দিয়েই ছাড়পত্র দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।

    পরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন ২য় বার এবং সাংবাদিক আল হেলাল ৩য় বার তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।



    কিন্তু দুর্নীতিবাজ ডাক্তার গুরুতর জখমী আয়াতুল মিয়াকে ৩২৬ ধারর গুরুতর জখম থাকার পরও একটি সিম্পল ইনজুরি সার্টিফিকেট প্রদান করেন।



    এদিকে ডাক্তারের দেয়া যোগাযোগমূলের জখমী সনদের ভিত্তিতে তাহিরপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আহমেদুল আরেফিন (বিপি নং ৯২২০২২৭৩০৯) মোট ৮জন আসামীর বিরুদ্ধে গত ৩১ জুলাই ১০৬নং অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অন্যদিকে সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট অমিত রায়ের মাধ্যমে গত ১৬/০৭/২০২৪ইং বিজ্ঞ বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমান ও বিজ্ঞ বিচারপতি মো.আতাবুল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত মহামান্য হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্রিমিনাল মিসকেইছ দায়েরক্রমে ৮ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন আবেদন করেছেন মর্মে অবহিত করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে একখানা এডভোকেট সনদ দাখিল করে আসামীরা পুলিশের গ্রেফতার অভিযান থেকে আত্মরক্ষা করেন।

     

    একপর্যায়ে সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর ভিআইপি আসামীদের মধ্যে স্থানীয় গুটিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুস্তাহার মিয়া (৪৮) ও তার ভাই ফার্মেসী ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    অনুসন্ধানে জানা যায়,উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বাদী সুজন মিয়ার দায়েরকৃত তাহিরপুর থানার মামলা নং ০৩ তাং ০৪/০৩/২০২৩ইং ধারা ৪৪৭/৩২৩/৫০৬ দ:বি: বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন ছিল।

    মামলার বাদী সুজন মিয়া আশংকা প্রকাশ করে বলেন,আসামীরা অনবরত আমাকে খুন করার হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।

    আরও খবর

    Sponsered content