• ক‌্যাম্পাস

    প্রশাসনের অনুমোদন ব্যতিত শাবিতে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ বেআইনী ঘোষণা

      ভাটি বাংলা ডেস্ক: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১২:০১:০২ অনলাইন সংস্করণ

    শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমোদন ব্যতিত ধর্মীয় ও যেকোনো রকমের স্থাপনা নির্মাণকে বেআইনী ঘোষণা করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    এর পাশাপাশি মোট চারটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করেন লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ড. মো আব্দুল্লাহ আল মামুন।

    রবিবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একাডেমিক ভবন এ তে ডিনবৃন্দের ডাকা জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    সিদ্ধান্তগুলো হলো- ব্যক্তি উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কোন স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের কোন আইনগত বৈধতা নেই, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাখিলকৃত ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়- বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোন স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি প্রদান করেননি, কোন পক্ষ স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ উদ্যোগ গ্রহণ করলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং অবৈধভাবে নির্মাণকৃত স্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের কার্যক্রম সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য শীঘ্রই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

    লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ড. মো আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে চাইলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইনের মাধ্যমে করতে হয়। প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে কেউ এই কাজগুলো করতে পারেননা। যারা এই কাজগুলো করছেন তারা নিজ উদ্যোগে এগুলো সরিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আমরা আশাবাদী। এছাড়াও ‘দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রশাসনের কাছে আবেদন করলে অস্থায়ীভাবে একটি ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    এদিকে গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পাসের সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামের পাশে মাটি খুড়ে ইট, বালি ও সিমেন্ট নিয়ে অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মের কতিপয় শিক্ষার্থী।

    তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের প্রার্থনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অস্থায়ী ভিত্তিতে ইউনিভার্সিটি সেন্টারের নিচ তলায় একটি রুম বরাদ্দ দেয়া আছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

    আরও খবর

    Sponsered content