ভাটি বাংলা ডেস্ক: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২:৪৯:৪৯ অনলাইন সংস্করণ
যগে যুগে বিভিন্ন দেশে বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে। বিপ্লবের পর বিপ্লবের সহযোগীদের বিভিন্ন ভাবে বিচার ও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
কিন্তু আমাদের দেশে জুলাই বিপ্লবের পর হাজারো শহীদের রক্তের বলিদান ও হাজারো শিক্ষার্থীর নানাভাবে আত্মত্যাগ ম্লান হতে বসেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে বসে আছে আওয়ামী লীগের দলবাজ কর্মকর্তা।
তারা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে এবং তদবির করে পদ বাগিয়ে নিচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষ কেউ কেউ আগের পদে বহাল আছে। বঞ্চিত কয়েক জন্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, জামালপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজমের সুপারিশ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলামের একান্ত সচিব ছিলেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন মন্ত্রী পালিয়ে গেলেও তিনি আছেন বহাল তবিয়াতে।
প্রশাসন ক্যাডারের ত্রিশ তম ব্যাচের কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া যিনি আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার এর সুপারিশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বর্তমান তিনি কুমিল্লার মত গুরুত্বপূর্ণ জেলার এডিসি। স্থানীয় সরকার বিভাগে পদ বাগিয়ে নিয়েছে শেখ হেলালের স্নেহধন্য আতিকুল ইসলাম।
তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে ক্যান্টমেন্ট সার্কেল ও রূপগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল এ থাকার সময় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। কথিত আছে তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এরিয়াতে ১০ কাঠার প্লট কিনেছেন এবং গ্রামের বাড়িতে বিপুল সম্পদ করেছেন।
সাম্প্রতি, একই বিভাগে কর্মরত জনাব রাফিউল ইসলাম পেয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের লোভনীয় পদ।
অন্যদিকে প্রশাসনের কুখ্যাত কবির বিন আনোয়ার এর একান্ত সচিব এখন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। বিসিএস ত্রিশ তম ব্যাচের সোহেল মারুফ হাসানুল হক ইনুর এর আস্থাভাজন হিসাবে দীর্ঘদিন চাকুরী করেছেন ভেড়ামারা উপজেলায়।
তার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিবের পদ। একই মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন সুফিয়ান আহমেদ তিনি গণ জাগরণ মঞ্চের নেতা এবং সাইফুজ্জামান শেখরের ক্যাশিয়ার হিসাবে কাজ করেছেন।
প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসারগণ হতবাক হয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের তেতত্রিশ ব্যাচের কর্মকর্তা বি.এম.কুদরত-এ-খুদা, এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ, মোবাশ্বের আলম,উপমা ফারিসা, মো: রিফাত ফেরদৌস এর পদে থাকা নিয়ে। রিফাত ফেরদৌস একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ।তিনি ক্যান্টমেন্ট সার্কেল এর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নারায়ণগঞ্জ সদরের ইউএনও থাকার সময় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন এবং তার নানা কুখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুবল হক হানিফ।
একই ব্যাচের দুই জন কর্মকর্তা সালমান এফ রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা হোলেন মো: মতিউর রহমান ও নাহিয়ান আহমেদ। তারা এখনও তাদের পদে বহাল আছে। অন্যদিকে মুজিবর্ষ আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আব্দুল নাসের এর একান্ত সচিব দিপন দেবনাথ স্বপদে বহাল আছে।
সাবেক জনপ্রশাসন সচিব কে এম আলী আজমের একান্ত সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে গাজীপুর সদর উপজেলায় এবং সালমান এফ রহমানের স্নেহধন্য ও নিজ স্বামী কে পরিত্যাগ করে সালমান এফ রহমানের একান্ত সচিব কে বিয়ে করে বাগিয়ে নিয়েছে সেতু বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদ।
সাম্প্রতি,আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী লালাবাগের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাগিয়ে নিয়েছে সোনারগাঁও উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ। এ বিষয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বক্তব্যে জানান যে,তারা অচিরেই উক্ত বিষয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন।
এসব কর্মকর্তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনে কথা বলতে রাজি হননি.
Notifications