ভাটি বাংলা ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১২:৪৯:০৭ অনলাইন সংস্করণ
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিলন মোল্যার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আত্তাবের সমর্থকেরা।
কালিয়া থানার এসআই মোস্তফার ছত্রছায়ায় আত্তাবের সমর্থিতরা এ হামলা চালায় বলে প্রত্যক্ষদশী সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল সকালে ওই হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মিলন মোল্যাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত সাইফুলসহ মিলন মোল্যা নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুরুতর আহত কামাল কাজী, মিরাজ মোল্যা, শামীম মোল্যা ও ফারুক হোসেন শেখসহ ১১ জন খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন- দিলু শেখ, মন্নাফ শেখ, শামরুল মল্লিক, ইজাজুল মোল্যা, ইয়াছিন মোল্যা, সোহাগ, সোহান, আলমিছ, জুয়েল ও আশরাফুল প্রমুখ।
আহতদের মধ্যে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বলছে, গতকাল সকালে আতাউর রহমান আত্তাবের সমর্থিত লোকজন অতর্কিত হামলা চালায় বিএনপি সমর্থিত ডাকু শেখ ও মিলন মোল্যার সমর্থিত লোকজনের ওপর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আত্তাবের সমর্থন নেয়ায় বিএনপির বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। তারা খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কেউ কেউ কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে মিলন মোল্যার সমর্থিত লেকবার ও তুহিনকে মারধর করে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিলে এলাকায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এরআগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছিল কালিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আত্তাব।
গত ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন সন্ধ্যায় আত্তাবের লোকজন ইউপি সদস্য ডাকু শেখের দোকান পাট ও কয়েকটি বাড়ী ভাঙচুর করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে উল্টো আত্তাবের লোকজন মামলা করে বিএনপি সমর্থিত লোকজনকে হয়রানি করছে।
ইউপি সদস্য ডাকু শেখ বলেন, এলাকার অবস্থা বেশি ভালো না। এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পুলিশ কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ ছাড়াও আত্তাব স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হলেও পুলিশ তাদের পক্ষে ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, আমাদের কোনো মামলা পুলিশ নিচ্ছে না। উল্টো আত্তাবের লোকজন মামলা করে আমাদের লোকজনকে হয়রানি করছে।
ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিলন মোল্যা বলেন, আত্তাব কোনো সময়ই বিএনপি করেনি। তাকে এখন কেউ কেউ বিএনপির লোক বানানোর চেষ্টা করছে।