• সারাদেশ

    ২৫ জেলায় নতুন ডিসি

    তিন ব্যাচের কর্মকর্তাদের মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত অভিযুক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে

      স্টাফ রিপোর্টারঃ ২০ আগস্ট ২০২৪ , ৪:৪১:১৬ অনলাইন সংস্করণ

    sharethis sharing button

    হাসিনার ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে সতায়তাকারী মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহারে দাবি করার এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের ২৫ থেকে ৩৫ জেলার প্রশাসকে (ডিসি) প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এসব জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিতে বঞ্চিত তিন ব্যাচের ফিট লিস্ট থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালন সরকার।

     

     

    প্রশাসনে বঞ্চিত ২৪-২৫ ও ২৭ ব্যাচের ২৫ জন উপসচিবকে ডিসি পদে নিয়োগের জন্য চিঠি দিয়ে ডাকা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধায় ডিসি ফিট লিস্টের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে দায়িত্বে থাকা ডিসি প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু করা হবে এবং একই সাথে জেলা গুলোতে নতুন ডিসি নিয়োগ দেয়া শুরু করা হবে। বিশেষ করে যে সব জেলার ডিসিরা ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী গণআন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মধ্যে ২৫জনকে প্রত্যাহার করা হবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে কিছু কিছুু জেলায় কয়েকজন ডিসি মাঠে থাকবেন বলেও জানা গেছে।

    গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কাযালয়ে হেয়ার রোর্ডের যমুনা কার্যালয়ে ডিসি ফিট লিস্টের তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে এই সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। এসময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রিপষিদ বিভাগ সচিব আলী ইমাম মজুমদারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। নতুন ডিসিদের ভাইভায় অংশ নিতে একটি নোটিশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    দেশের ৬৪ জেলায় ডিসি পদে বর্তমানে তিনটি ব্যাচের কর্মকর্তারা মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো হচ্ছে ২৪তম ব্যাচ। এ ব্যাচের ২৩ জন ডিসি পদে কর্মরত রয়েছেন। এ ছাড়া ২৫তম ব্যাচের ১৯ জন এবং ২৭তম ব্যাচের ২২ জন কর্মকর্তা ডিসি হিসেবে আছেন। এবারো এই তিন ব্যাচের বাদ পড়াদের ডিসি করা হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত ডিসি পদে দুই বছর হওয়ার পর তাদের বদলি বা পরিবর্তন করা হয়। ২৪তম ব্যাচের ডিসিদের অনেকের দুই বছর সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য তাদের অনেককে বর্তমান কর্মস্থল পরিবর্তন করে নতুনদের নিয়োগ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ডিসি পদে আসতে পারেন ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। বৈষম্যে শিকার কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবি সব বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, জেলার ডিসি, পুলিশ সুপারসহ (এসপি) জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করতে হবে। ফোরামের সম্বয়ক অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার অফিসার্স ক্লাবে মতবিনিময় সভায় বলেন, হাসিনার ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে সতায়তাকারী মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তারা দায়িত্বে থাকার সব যোগ্যতা হারিয়েছে। বৈষম্যে শিকার কর্মচারী ফোরাম গত রোববার থেকে সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করলে সরকারের তরফ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

     

    ডিসি হিসাবে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের অনেকের মেয়াদ ৩ বছর ছুঁই ছুঁই। তাদের দ্রুত প্রত্যাহারের একটা আলোচনা আন্দোলনের আগে থেকেই চলছিল। আন্দোলনের ফলে এখন নতুন করে ডিসিদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। যারা বিগত আন্দোলনে বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন, তারা আগে প্রত্যাহার হবে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সিলেট, নরসিংদী ও বরিশাল, গাইবান্ধা,রংপুর, ফরিদপুরসহ ৩৫ জেলার ডিসি চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যাহার হচ্ছে। পরবর্তীতে অন্য জেলার ডিসিও প্রত্যাহার হবে। বৈষম্যে শিকার কর্মচারী ঐক্য পরিষদ নেতা জাকির হোসেন কামাল বলেন, সব কর্মচারীর দাবি ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে যেসব কর্মকর্তা নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে বরখাস্ত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তারা হাসিনাকে প্রহসনের নির্বাচনে সহায়তা করেছে। তারা হাসিনার পরীক্ষিত দোসর। মন্ত্রিপরিষদ সচিব থেকে নিয়ে সব সচিব গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট হাসিনার পালানোর ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তার পদলেহন করেছে। এই সচিবদের আদেশ নির্দেশে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিশুসহ নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে।

    জানা গেছে,দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ কৃষি কলেজ (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের ভূঁঞা। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ পরিবারের সভাপতি হিসেবে। একই সাথে দায়িত্ব পালন করছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক হিসেবে। ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে সব সময় তটস্থ রাখতেন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তার বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ এলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাপিয়ে দিয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে তার প্রত্যক্ষ মদদে। শুধু আবু নাছের ভূঁঞা নন এমন অভিযোগ রয়েছে দেশের অন্তত ২৫-৩০জন জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে। যারা এখনো এসব জেলায় অস্থিরতা তৈরি করতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগকে মদদ জোগাচ্ছেন। তাদের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় খোঁজ নেয়া হয়েছে। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৫ ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের একান্ত সচিব ছিলেন। নাটোরে দায়িত্ব পালনের সময় বিগত সরকারের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সবার সাথে রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করেছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বসে সারা দেশে ছাত্রলীগের কমিটিতে কে কোন পদে থাকবেন তার সুপারিশ করতেন। সাধারণ নেতাকর্মী থেকে শুরু করে শহরের টোকাই শ্রেণীর লোকজনও তার দফতরে সবসময় উঠাবসা করত। বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী দেখা করতে গেলে কখনো সাক্ষাৎ দিতেন না। আওয়ামী লীগের পতনের পরের দিন দুপুরে বিএনপি- জামায়াতের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। এসব সভায় জামায়াতের জেলা আমির ড. অধ্যাপক মীর নুরুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাটোরে গাছ থেকে আম আহরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় সদরের গুনারীগ্রামের কৃষি বিভাগের ব্লক সুপারভাইজার কুদরত ই খুদার আমবাগানে। সকাল ৭টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠান শুরুর আগ মুহূর্তে জেলা প্রশাসক জানতে পারেন এই কৃষি কর্মকর্তা বিএনপি সমর্থক। ফলে জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানটি বর্জন করেন। পরে জেলা কৃষি কর্মকর্তা আম আহরণ উদ্বোধন করেন। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে দাবি করা এই কর্মকর্তা জেলাপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তাকে বিশ্বাস করেন না। সবাইকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করায় তার বিষয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

     

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ বছরে জেলা প্রশাসক নিয়োগের প্রধান যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে প্রার্থীর রাজনৈতিক মতাদর্শ। ছাত্রজীবনে যারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন তাদেরকেই জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। প্রার্থীদের রাজনৈতিক মতাদর্শ কয়েক স্তরে তদন্ত করা হয়েছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা, ডিজিএফআই-এনএসআই ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দিয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আবু নাছের ভূঁঞা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন কর্মকর্তারা কাজ করছেন, যারা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের কর্মী অথবা সরকারের বিভিন্ন সময়ে সুবিধাভোগী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর জেলাগুলোতে অস্থিরতা তৈরিতে মদদ দিচ্ছেন। জেলাগুলোতে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। বিসিএস ২৫ ব্যাচের এই কর্মকর্তা বিয়ে করেছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের মেয়েকে। জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়নের আগে তিনি সাধন চন্দ্র মজুমদারের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে সাভারের উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বিসিএস ২৪ ব্যাচের এই কর্মকর্তা নিজ এলাকার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এছাড়া গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ উইংয়ে নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগে (এপিডি) কাজ করেছেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। বিসিএস ২৭ ব্যাচের এই কর্মকর্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। রূপগঞ্জের ইউএনও থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় কোনো অভিযোগই আলোর মুখ দেখেনি।নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক। আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন এই কর্মকর্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৭ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কলেজজীবন থেকে নৌকার রাজনীতি করতেন। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এডিসি (এলএ) থাকার সময় অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো.এহেতেশাম রেজা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তার বাবা গাইবান্ধার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এ ছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ্জ্জুামান খান কামালের একান্ত সচিব (পিএস) মু: আসাদুজ্জামান পাবনার জেলা প্রশাসক এবং দেওয়ান মাহবুবুর রহমান নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ছিলেন জননিরাপত্তা সচিবের একান্ত সচিব। বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাবেক এই একান্ত সচিব দায়িত্ব পালন করেছেন হল শাখার বিভিন্ন পদে। মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের একান্ত সচিব ছিলেন নওগার জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের একান্ত সচিব। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন ছিলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের একান্ত সচিব। এর আগে তিনি নিলফামারীরও জেলা প্রশাসক ছিলেন। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত আছেন কাজী নাহিদ রসুল। যিনি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় দেয়া ঢাকার সাবেক জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুলের কন্যা। শেরপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তা হওয়ায় তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। তার পিতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও প্রক্টর ছিলেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। ছাত্রজীবনে ২০০১ সালে সার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগ এবং পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার গঠিত কমিটিতে ১ নম্বর সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেরকের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নানের একান্ত সচিব। এসব আওয়ামীলীগ পন্থী জেলা প্রশাসক প্রত্যাহার করা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content