প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২৪ , ৮:২৬:২৮ অনলাইন সংস্করণ
জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে ভারতীয় এজেন্ট ও দালাল সাংবাদিকদের বহিস্কারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শনিবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এবং প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে লিখিতভাবে এ দাবি জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা পক্ষে সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও আব্দুল হান্নান মাসুদ স্বাক্ষরিত জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেওয়া ঠিঠিতে বলেন,
ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরানোর ইন্ধনদাতা দালাল সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন, শ্যামলদত্ত গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রেস ক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রেস ক্লাব বরাবরই জাতির দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এ প্রতিষ্ঠানটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে এর ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন( যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের শুধু দালালই নয় পার্লামেন্ট মেম্বার), সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রতিনিয়ত বারতের এজেন্ট হিসাবে পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে মদদ দিয়ে এবং টকশোতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদের রক্তঝরানোর মতো মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত ছিল। এছাড়াও ছাত্রদের রক্তঝরানোর মতো অমানবিক কাজে জড়িত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সদস্য প্রভাষ আমিন, জায়েদুল আহসান পিন্টু (ছাত্রদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মিথ্যামর করেছে), মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী,ফারজানা রুপা, অশোক চৌধুরী, শাহজান সরদার, আবুল খায়ের, মঞ্জুরুল ইসলাম ( ডিবিসি), প্রণবসাহা (ডিবিসি), নঈম নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), খায়রুল আলম (ভারতীয় গোয়ান্দা সংস্থার এজেন্ট ও ডিইউজে নেতা),সাইফুল আলম (যুগান্তর), আবেদ খান, সুভাষ চন্দ্র বাদল, জ,ই মামুন, জাফর ওয়াজেদ (পিআইবি),শাহনাজ সিদ্দিকী (বিএসএস), সাইফুল ইসলাম কল্লোল (বিএসএস), পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ বোরহান কবির, শাবান মাহমুদ, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মোল্লা আমজাদ, শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ,মামুন আবদুল্লাহ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), সোমা ইসলাম (চ্যানেল আই),শ্যামল সরকার (ইত্তেফাক), অজয় দাশ ( সমকাল), আলমগীর হোসেন (সমকাল), শাকিল আহমেদ (৭১ টিভি), রামা প্রসাদ (সমকাল), সঞ্জয় সাহা পিয়াল (সমকাল), ফরাজী আজমল (ইত্তেফাক),আনিসুর রহমান (বিএসএস), এনামুল হক চৌধুরী, দিপক কুমার আচার্য, নাঈমুল ইসলাম খান,কুদ্দুস আফ্রাদ, মধুসুধন মন্ডল, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মুন্নী সাহা, শেখ জামাল, হাসান জাহিদ তুষার, এনায়েত হোসেন, মাহমুদুর রহমান খোকন, কামাল চৌধুরী, সাজু রহমান, কিশোর সরকার, ওবায়দুল হক খান, আরাফাত মুন্না, আবুসাহে রনি প্রমুখ। এ ছাড়াও চিঠিতে প্রেসক্লাবের সদস্য নয় এমন কয়েকজনের নামও রয়েছে। তারা হলেন, সুভাষ সিংহ রায়, স্বপন বসু (বিএসএস), মিথিলা ফারজানা (৭১ টিভি), শবনম আজিম (৭১ টিভি)।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতারা বলেন, আমরা মনে করি সাংবাদিকতার আড়ালে এদের কর্মকান্ড ছিল জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্র বিরোধী। ছাত্ররা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। এসব ভারতীয় দাদাল ও জাতীয় দুশমনরা প্রেস ক্লাবের বা সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে আর যাতে জাতির ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য তাদের বহিষ্কার ও সাংবাদিকদের অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার নিবেদন জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি।