ডেস্ক রিপোর্টঃ ৩১ জুলাই ২০২৪ , ৩:০২:১২ অনলাইন সংস্করণ
‘গুলিতে শিক্ষার্থী নিহতের তথ্য নেই কোনো মামলায়’- সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পর বিভিন্ন মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী।
রাজধানীতে দায়ের করা অনেক মামলায় বিএনপির অধিকাংশ শীর্ষ নেতার নাম রয়েছে। পাশাপাশি শত শত অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কয়েকটি মামলায় শিক্ষার্থীদেরও করা হয়েছে আসামি।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার কথা কোনো মামলায় স্পষ্ট বলা হয়নি।
এমনকি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ প্রকাশ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও মামলার এজাহারে তা এড়িয়ে যাওয়া হয়।
বরং আন্দোলনকারীর ছোড়া গুলি ও ইট-পাটকেলের নিক্ষেপে সাঈদ মারা গেছেন বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে। বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া অন্তত ৭০ মামলার এজাহার বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলার এজাহারে বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনগণ ও সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে চাইনিজ রাইফেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ।
অনেক মামলার এজাহারে সাউন্ড গ্রেনেড, ফাঁকা গুলি, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের কথা বলা হয়। এসব মামলার বাদী পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা।
‘সব দল নিয়ে বসার পরামর্শ’- যুগান্তরের শিরোনাম।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান সংকট নিরসনে রাজনৈতিক নেতারা সব দল নিয়ে বসার পরামর্শ দিয়েছেন।
চলমান পরিস্থিতি একটি রাজনৈতিক সংকট বলে রাজনৈতিক নেতারা মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, আলোচনার মাধ্যমে চলমান সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বল প্রয়োগ করলে হিতে বিপরীত হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। একইসাথে আন্দোলনকারী নেতাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ভিডিও বার্তা দেওয়ার ঘটনারও তীব্র সমালোচনা করেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
মানবজমিন পত্রিকায় ‘জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থী ও নাগরিক হত্যার দাবি’ শিরোনামে প্রথম পাতার একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ, বিভিন্ন বাহিনী এবং সরকারের মদতপুষ্ট বেসরকারি অস্ত্রধারীদের হাতে শিক্ষার্থীসহ নাগরিক নিহত ও নির্যাতিত হওয়ার ঘটনার তদন্ত চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৭৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং স্বাধীনভাবে এই তদন্ত করার স্বার্থে এটি জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে হওয়া জরুরি।
তাই জাতিসংঘকে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার ৭৪ জন বিশিষ্ট জন।
প্রকৃত দোষী যেই হোক, যত উচ্চ পদাধিকারী কিংবা যেকোনো দল মতের হোক তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানিয়েছেন তারা।
একইসাথে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কারফিউ তুলে নিয়ে জনগণকে দমন-পীড়ন কিংবা ভয়-ভীতি প্রদর্শনের জন্য যে সকল সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম রাস্তায় নামানো হয়েছে, অবিলম্বে তা স্ব স্ব স্থানে ফেরত নিয়ে যাওয়ার আহবান করেছেন তারা।
এছাড়া অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটের উপর সকল সরকারি নিয়ন্ত্রণের অবসান এবং ভিন্ন মতের মানুষকে হয়রানি ও তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা।
‘জামায়াত – শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত’– কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট যুদ্ধাপরাধী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত দ্রুতই সরকার বাস্তবায়ন করবে।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক চলাকালেই প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতেই সোমবার ১৪ দলীয় জোটের এ বৈঠক হয়।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কারফিউ তুলে না নেয়ার পরামর্শ দেন জোট নেতারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। গতকাল সন্ধ্যায় ১৪ দলের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
সভায় জোট নেতারা ডিবির নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীও ক্ষোভ জানিয়ে তাকে সরিয়ে দিতে বলবেন বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘Protesters take to streets again’ শিরোনামে ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আবার সোমবার ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে। তবে এদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অন্তত ৮০ জনকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা কর্তৃক কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারীকে আটক করা এবং বিক্ষোভ শেষ করার বিবৃতি দিতে বাধ্য করার প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করেছে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কারী সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের জন্য আজ দেশ ব্যাপী শোক পালনের সরকারের আহবান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তারা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষকে লাল কাপড়ে মুখ ঢেকে তাদের ছবি অনলাইনে আপলোড করার আহ্বান জানান।
‘Stop mockery of nation: HC’ শিরোনামে নিউএইজ পত্রিকার প্রথম পাতায় খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধানের খাবার খাওয়া, এবং বিভিন্ন স্থান থেকে বেআইনিভাবে কোনো অভিযোগ ছাড়াই তুলে নেয়ার ঘটনাকে ‘জাতির সঙ্গে উপহাস’ বলে অভিহিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ সোশাল মিডিয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় নেতার সাথে খাবার খাওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন।
পরে গোয়েন্দা শাখার হেফাজতে থাকা ছয় ছাত্রনেতা গণমাধ্যমে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এই ছয় শিক্ষার্থীকে আটক রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে এ ধরনের প্রহসন বন্ধের আহবান জানায় হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।
বণিক বার্তা পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘রিজার্ভ -রফতানির পর রাজস্ব আয়ের হিসাবেও বড় অসংগতি’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে সরকারের রাজস্ব আহরণে। গত ২০২৩ – ২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের হিসাব নিয়ে সরকারের একেক সংস্থা একেক ধরনের তথ্য দিয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং হিসাব মহা-নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের তথ্যে ৯৭ হাজার ২৮০ কোটি টাকার বেশি পার্থক্য রয়েছে।
দুই হিসাবেই উঠে এসেছে, রাজস্ব আহরণে গত অর্থবছরে সরকারি লক্ষ্যের মতো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেঁধে দেয়া লক্ষ্যও পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজস্ব আহরণে এনবিআর ও সিজিএর তথ্যের ব্যবধান সরকারি তথ্য-উপাত্তকে নতুন করে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এর আগে রিজার্ভ ও রফতানির তথ্য নিয়েও এমন প্রশ্ন উঠেছে।
তথ্যের এমন অসংগতি এখন বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এ বিভ্রাট নিরসনে দ্রুততার সঙ্গে নিরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
‘গ্রেপ্তার আতঙ্কে চিকিৎসা রেখেই হাসপাতাল ছাড়ছেন অনেকে’- দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার খবর এটি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় আহতরা রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আহতদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছেন সাধারণ পোশাকে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এই গুলিবিদ্ধদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আবার অনেক আহতকে সংঘর্ষের মধ্যে যাওয়ার কারণ জানতে জেরা করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা অনেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে চিকিৎসা শেষ না করেই হাসপাতাল ছাড়ছেন। যদিও পুলিশ বলছে, আতঙ্কের কিছু নেই।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়কে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে নেয়ার ঘটনা থেকেই মূলত গ্রেপ্তার আতঙ্ক শুরু হয়।
রাজধানীর প্রধান চারটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন রোগীরা চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখেই গ্রেপ্তারের ভয় ও আইনি জটিলতা এড়াতে গোপনে হাসপাতাল ছাড়ছে।
‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নিহতদের স্মরণে দেশব্যাপী আজ শোক’- প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার খবর এটি।
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মঙ্গলবার দেশব্যাপী শোক পালনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিন কালো ব্যাজ ধারণ এবং মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এছাড়া মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘কোটা কোনো ইস্যু না এটা জঙ্গিবাদী কাজ’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোটা কোন ইস্যু ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। একেবারে জঙ্গিবাদী কাজ’।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী-লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে জোটের নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা কোনো ইস্যু না। বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে সেবা দেয় মানুষের জীবনমান উন্নতি করে, সেটাই ধ্বংস করা। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকে যেন ধ্বংস করে ফেলা। এখানে শিবির-ছাত্রদল, বিএনপি-জামায়াত… জঙ্গি এরা। জঙ্গিরা আমাদের ওপর নতুন করে থাবা দিয়েছে’।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ঘটিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সম্মান ধূলিসাৎ করে দেয়া হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের কারা অর্থ দিয়েছে এমন প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।