• সুনামগঞ্জ

    প্রতারনা মামলায় জামালগঞ্জের নিজাম নুরসহ দুজন কারাগারে

      কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ২৫ মার্চ ২০২৪ , ১:৩৫:০০ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের ছেলাইয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আতিকুর রহমান একই গ্রামের রিয়াদ হাসান সানু ও নিজাম নুরের নিকট হতে নগদ সাড়ে ৯লাখ টাকায় ক্রয়কৃত ট্রাকটি স্টাম্পের মাধ্যমে ক্রয় করলেও প্রতারনার মাধ্যমে নিজাম নুর গাড়িটি তার নামে করে নেওয়ার মামলা দ্বিতীয় দফায় নিজাম নুর ও তার আপন চাচাতো ভাই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা প্রধান আসামী রিয়াদ হাসান সানুর জামিন না মুঞ্জর করে কারাাগরে পাঠানো হয়েছে।

     

    রবিবার সকালে প্রতারক নিজাম নুর ও রিয়াদ হাসান (সানু) আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামালগঞ্জ জোনে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বেগম ইসরাত জাহান তাদের দুজনের জামিন না মুঞ্জর করে কারাাগরে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

     

    এই প্রতারণার ঘটনায় গত ২১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে ছেলাইয়া গ্রামের মোঃ আবুল বাতেনের ছেলে প্রতারিত প্রবাসী মোঃ আতিকুর রহমানের আপন ছোট ভাই মোঃ আসাদুর রহমান বাদি হয়ে একই গ্রামের প্রতারক রিয়াদ হাসানকে প্রধান আসামী করে গ্রামের ,নিজাম নুর ও তার ভাই মিজানুর এই তিনকে আসামী করে আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত জামালগঞ্জ,সুনামগঞ্জ জোনে একটি মামলা দায়ের । যার মামলা নং-সি.আর-২০৩/২৩ জামালগঞ্জ।

     

    এর একমাস পূর্বে গত ২২ ফেব্রুয়ারী মামলার দুই নম্বর আসামী প্রতারক নিজাম নুর আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামালগঞ্জ জোনে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের বিঞ্জ বিচারক বেগম ইসরাত জাহান তার জামিন না মুঞ্জর করে কারাাগরে পাঠানোর নিদেশ দেন।

     

    প্রথম দফা এক সপ্তাহ জেল খেটে নিজাম নুর গত ২৯ ফেব্রুয়ারী জামিনে মুক্তি পেলে ও তিনি তার আপন চাচাতো ভাই মামলার প্রধান আসামী প্রলাতক রিয়াদ হাসান সানুকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হওয়ার শর্তে তাকে বিঞ্জ আদালত জামিন দিয়েছিলেন।

     

    আটককৃতরা হলেন জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের ছেলাইয়া গ্রামের মিরাশ আলীর ছেলে প্রতারক নিজাম নুর এবং মামলার এক নম্বর আসামী মুক্তার আলীর ছেলে রিয়াজ হাসান(সানু) । তিন নম্বর আসামী নিজাম নুরের ভাই মিজানুর রহমান জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

     

    উল্লেখ্য গত ২৬/৯/২০২২ইং তারিখের মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলাইয়া গ্রামের মোঃ আতিকুর রহমান দেশে এসে একটি ট্রাকটি ১০০টাকা মুল্যের তিনটি নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে সাক্ষীর উপস্থিতি ও স্বাক্ষর নিয়ে একটি মালবাহী ট্রাকটি একই গ্রামের মোঃ মুক্তার আলীর ছেলে মো: রিয়াদ হাসান (সানু)”র নিকট হইতে ক্রয় করেন । ট্রাকটি বিক্রয়ের রশিদপত্র ১জন গ্রহিতা ১জন দাতা ১০০ টাকার ৩টি ষ্ট্যাম্প ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর দ্বারা সম্পাদিত রয়েছে ।

     

    গত ০৫/১১/২০২২ইং তারিখে জামালগঞ্জ মসজিদ মার্কেটে লিখিত স্ট্রাম্পের মাধ্যমে আতিকুর রহমান নগদ সাড়ে ৯লাখ টাকা পরিশোধ করে মালবাহি ট্রাকটি দুই নং আসামী প্রতারক নিজাম নুরের উপস্থিতিতে এক নম্বর আসামী মো: রিয়াদ হাসান (সানু)”র নিকট হতে ক্রয় করেন। এসময় ট্রাক মালিক, রিয়াদ হাসান জানান ট্রাকটির মুল কাগজ কোম্পানিতে থাকায় কিছুদিন পর আতিকুরের নামে কাগজপত্রগুলো কওে দিবেন বলে অঙ্গীকার করেন। প্রবাসী আতিকুর রহমান সরল বিশ্বাসে এবং বিক্রেতা মো: রিয়াদ হাসান(সানু) ছেলাইয়া একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে তার কথা বিশ্বাস করে ষ্টাম্পের মাধ্যমে সাড়ে ৯ লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করে ট্রাকটি ক্রয় করেন।

     

    গত ১ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখ পর্যন্ত খরিদকৃত ট্রাকটি বাদি আতিকুর রহমানের ছোটভাই আসাদুরের নিকট হস্তান্তর করেন এবং গাড়িটিতে ড্রাইভার রেখে ট্রাক চালিয়ে কিছুদিন খরিদদার আতিকুর রহমানের পরিবার আয় রোজগার করে সংসার পরিচালনা করে আসছিলেন। এর কিছুদিন পর গত ০১/০৮/২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারী হঠাৎ করে মো: রিয়াদ হাসান ( সানু), আপন চাচাতো ভাই প্রতারক নিজাম নূর ও মিজানুর পুলিশ নিয়ে ক্রয়কৃত ট্রাকটি জোরপূর্বক তাদের নিকট হতে ছিনিয়ে নিয়ে যান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। ।

     

    প্রবাসী আতিকুর রহমানের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে গাড়িটি পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে রিয়াদ ও নিজাম নুর তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় । এ ব্যাপারে বাদি পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট আইন উদ্দিন প্রতারনা মামলায় দুই আসামরি জামিন না মুঞ্জরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,প্রবাসী আতিকুর রহমান ঘটনার তারিখে সাড়ে ৯লাখ টাকায় আসামী রিয়াদ হাসান ও নিজাম নুরের নিকট হতে ট্রাকটি ক্রয় করেছিলেন। আটককৃতদের প্রতারণার কঠোর শাস্তি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    আরও খবর

    Sponsered content