আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ৭ মার্চ ২০২৪ , ৯:৩৪:০৫ অনলাইন সংস্করণ
রমজান শুরুর আগেই বিগত প্রায় পাঁচ মাসের লড়াই থামাতে বুধবার কায়রো আলোচনায় দূতরা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দীমুক্তি চুক্তির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার চাঁদ দেখা সাপেক্ষে মুসলিমদের রোজার মাস শুরুর আগেভাগেই ইসরাইলের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চলমান প্রাণঘাতি লড়াইয়ে গাজা আবারো প্রকম্পিত হচ্ছে। মরিয়া জনতা খাদ্য সহায়তার ট্রাক থামিয়ে লুট করছে। দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় জাতিসঙ্ঘও সতর্ক করছে। এই পরিস্থিতিতে মিশরের আলোচকরা বিদ্যমান কঠিন অবস্থা কাটিয়ে তুলতে চাইছেন।
প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি এখন রাফায় বাস করছে, যাদের বেশিরভাগই যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত। গাজাবাসীরা রাফায় ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ’র অফিসের বাইরে আটার ব্যাগ সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছে।
সাহায্য যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে, বাস্তুচ্যুত মুহাম্মদ আবু ওদেহ বলেন, ‘তারা আমাদের শুধুমাত্র ময়দা ছাড়া, চিনি বা অন্য কিছুই দিচ্ছে না।’
এদিকে, খান ইউনিসে নগরীর কেন্দ্র থেকে ইসরাইলি বাহিনীকে সরিয়ে নেয়ার পর বাস্তুচ্যুতরা তাদের ফেলে যাওয়া জিনিসপত্রের কিছু উদ্ধার করা যায় কিনা, তা দেখতে বোমাক্ষত ভবনের আাশেপাশে সারিবদ্ধ হয়ে ভিড় করছে। এই ধরনের সেনা প্রত্যাহার নিশ্চিত করতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এএফপি’র অনুরোধে এখনো কোনো সাড়া দেয়নি।
বাইডেন মঙ্গলবার হামাসকে মার্কিন, কাতারি ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা গ্রহণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, ‘এটি এখন হামাসের হাতে।’
হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রস্তাবিত চুক্তিটিতে অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ বিরতির কথা বলা হয়েছে। এই বিরতি পরিকল্পনার সুযোগে অসুস্থ, আহত, বয়স্ক ও নারী বন্দীদের মুক্তির পাশাপাশি মানবিক সহায়তাও বৃদ্ধির অনুমতি পাবে।
এদিকে, হামাসের কাছে ১০০ জীবিত বন্দীর একটি তালিকা সরবরাহ করার জন্য ইসরাইলের অটল দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হামাস জানায়, বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকা অবস্থায় তারা এ কাজে অক্ষম।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘যুদ্ধ সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে তারা যথেষ্ট নমনীয়তা দেখিয়েছে।’
সূত্র : বাসস