মো: বদরুজ্জামান বদরুল, বিশেষ প্রতিনিধি: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৪:৪৩:৫৫ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ০৩ নং রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েলের ছোট ভাই রাজানগর গ্রামের আব্দুল কায়ুম এর ছেলে আতাহার ইসলাম আতা গতকাল দিবাগত রাতে একই ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডের কালি নগর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী’কে ঘরে ডুকে ধর্ষণের চেষ্টা কালে জনতা হাতেনাতে আটক করেছে।
রাত সাড়ে ৩ টায় খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশের একটি দল তাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
পরে ৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী মহিলা প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রী মোছ: নাছমিনা বেগম (২৮) মামলা দায়ের করেন।দিরাই থানার মামলা নং ০৫/২০২৪।
মামলার খবর নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার অফিসার ইন চার্জ ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৩ ঘটিকার সময় ধৃত আসামি আতহারুল ইসলাম আতাকে সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করেন।
মামলার বিবরণে মোছা: নাছমিনা বেগম উল্লেখ করেন আসামি আতাহার ইসলাম আতা বখাটে, লম্পট, উগ্র ও উশৃংখল প্রকৃতির লোক।
বাদীর স্বামী বাইরাইন প্রবাসে থাকায় ৭ বছরের মেয়ে সন্তান কে নিয়ে তিনি এক বসবাস করেন এবং ডাক্তারি সহ বাজার সওদা করতে রাজানগর বাজারে যাওয়া আসা করেন। উক্ত আসামির ফ্লেক্সিলড এর দোকানে কয়েক বার মোবাইলে টাকা রিচার্জ করলে সে বাদীনীর মোবাইল নাম্বার পায়।
তারপর থেকে বিগত কয়েক মাস যাবত কল করে প্রেমের প্রস্তাব সহ অনৈতিক করে ব্যার্থ হয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসতেছে।
ঘটনার তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারী রাত ১২ টায় বাদীনীর বসত ঘরের দরজায় এসে ডাকাডাকি করলে দরজা না খোলায় এক পর্যায়ে নাছমিনা বেগম এর স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দিচ্ছে বলে বাদী ঘরের দরজা খোলা মাত্র আসামি আতাহারুল ইসলাম আতা নাছমিনার উপর ঝাপিয়ে পড়ে পড়নের কাপড় ছিড়ে ফেলে এবং শ্লীলতাহানি করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে, এতে বাদী চিতকার চেচামেচি শুরু করলে পার্শ্ববর্তী ঘরে থাকা শাশুড়ী ও দেবর সহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে নরপশু আতার হাত থেকে রক্ষা করে এবং আসামি আব্দুল কায়ুম এর ছেলে আতাহারুল ইসলাম আতা কে বেধে রেখে সাবেক ইউপি মেম্বার হাসান আহমদ চাও মিয়া ও বর্তমান মেম্বার সাঈদ আহমদ খসরুকে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ফোনে দিরাই থানা পুলিশকে ঘটনা অবহিত করলে রাত সাড়ে ৩ ঘটিকায় আসামি আতাকে ঘটনাস্থল কালি নগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিশ।