• সুনামগঞ্জ

    বিজয় মাসের বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে রিড হোম কোচিং সেন্টার

    ১৯৭১ এর বিজয়ের গাঁথা

      তৌফিকুর রহমান তাহের, শাল্লা প্রতিনিধিঃ ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:১৬:৩১ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারনার সাথে সাথে চলছে বিজয়ের মাসের গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যপূর্ন বিজয়ের গাঁথা মালা।এসেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ৩০লাখ শহীদ ২লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর বিজয়ের মাস নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে।

    এইবার শাল্লা উপজেলায় রিড হোম কোচিং সেন্টার নিজগাঁও বাজারকান্দি (মিলনবাজার) বিজয়ের বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে অত্র কোচিং সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।

    তিনি আরো বলেন, আমি যখন থেকে বুঝি তখন থেকে থেকেই,প্রতিটি দিবস রিড হোম কোচিং সেন্টার এর ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে আমি প্রতি বছর জাঁকজমক ভাবে করে আসছি হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন কুচক্রী, মহলের বাধা বিপত্তি আলোচনা সমালোচনা ঝড় তুললেও আমাকে ধমিয়ে রাখতে পারেনি।

    ওরা ধর্মের দোহাই দিয়ে বরাবরই বিভ্রান্তির মূখে ঠেলে দেয়, কিন্তু পারেনি। কর্মসূচী সভায় উপস্থিত ছিলেন অহেদুল তালুকদার রবিন,মো: মমিন আলী,সৌরভ সমাজপতি,মতিউর রহমান, মানসিংহ চৌধুরী মনুজ,মোঃ আজব আলী সাবেক সভাপতি আটগাঁও ইউনিয়ন। খোরশেদ আলম তালুকদার, সভাপতি আটগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। ডিসেম্বর শুরুতেই চলছে নির্বাচনী মঞ্চে ডিসেম্বর মাসের তাৎপর্যপূর্ন অর্থবহ কথাগুলো তুলে ধরছেন,দিরাই-শাল্লার নেতাকর্মীরা।

    বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরু হয়েছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর।

    ৩০ লাখ শহীদ আর ২লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সাক্ষর বিজয়ের মাস নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে। সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা।

    অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে। বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হওয়ার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর। এ মাসেই হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর, আল-শামসদের সহযোগিতায় দেশের মেধাবী-শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবীদের নৃশংস হত্যা করে।সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেওয়ার এ ধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোনো নজির বিশ্বে নেই।

    ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল-স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের সংবাদ চারদিক থেকে আসতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ বলে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে সই করেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী।

    এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। জাতি অর্জন করে হাজার বছরের স্বপ্নের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

    তার ডাকে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৯ মাসের সশস্ত্র জনযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মহান এ বিজয়ের মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিরাই-শাল্লা বিভিন্ন আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন সামাজিক অঙ্গসংঠন।

    আরও খবর

    Sponsered content