স্টাফ রিপোর্টার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ , ১২:৫৭:৪২ অনলাইন সংস্করণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন না আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকায় বাদ পড়া বর্তমান মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তাদের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের মুখে পড়তে পারেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে এমন ঘোষণা আসছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিএনপিসহ অনেক দল অংশ না নেওয়ায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা, যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক দেখা দেয়। এবার তার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায় দলটি। বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলো শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে না এলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও ভোটারদের অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে খানিকটা নমনীয় থাকবে আওয়ামী লীগ। ভোটকে উৎসবমুখর করে তুলতেই এবার এমন অবস্থান নিয়েছে দলটি। গত রোববার গণভবনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এমন আভাস দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
তবে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত এ সুযোগ পাচ্ছেন না সরকারের বর্তমান মন্ত্রী, এমপি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। ‘নৌকার’ বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাদের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে দলে চিরতরে নিষিদ্ধ হতে পারেন তারা। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ে এরই মধ্যে এমন আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল শহীদ ডা. মিলন দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিদ্রোহীদের বিষয়ে বলেন, ‘নতুন নতুন সময়ে নতুন নতুন কৌশলও দলকে গ্রহণ করতে হয়। এ সময়ে যে কৌশল দরকার, নেত্রী সে কৌশল ঠিক করেছেন। দলের অবস্থান অনুযায়ী, ভবিষ্যৎ মাথায় রেখে দলীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন এবং দেন।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে অনেকটাই ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যেন নির্বাচিত হতে না পারে’—আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যকে দলীয় প্রতীকের বিপক্ষে প্রার্থী হতে অনুপ্রেরণার জায়গা হিসেবে দেখছেন নৌকাবঞ্চিতরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেড় ডজনের বেশি নেতা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে। সরাসরি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা না দিলেও অনেকেই ‘এলাকাবাসীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়’ রয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন। যাকে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার আলামত বলে মনে করা হচ্ছে।