মো. রাকিব হোসেন, গাজীপুর প্রতিনিধি: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:২২:১০ অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর মহানগরীর বাঙ্গালগাছ এলাকায় প্রকাশ্যে দুই সন্তানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার।
তাদের দাবি, পাওনা টাকা আনতে গেলে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে আউয়াল ও তাঁর সহযোগীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নির্মম এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর হাবিবুল্লাহ স্মরণিস্থ ইকবাল কুটিরে একটি স্থানীয় পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান হত্যার শিকার শফিকুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীর পিতা মো. আবুল কাশেম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবুল কাশেম (৬১) জানান, আমার চার সন্তান ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালিয়ে হালালভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। গত ২০ অক্টোবর ২০২৩ (শুক্রবার) ভুরুলিয়া প্রজেক্টে মাছ ধরার পর সন্ধ্যার দিকে আমার দুই সন্তান শফিকুল ও শুক্কুর বাঙ্গালগাছ এলাকার রাসেলের কাছ থেকে পাওনা টাকা আনতে যান। সেখানে পাওনা টাকা না দেয়ায় আমার সন্তানদের সাথে আউয়াল, রাসেলদের তর্ক-বির্তক হয়।
পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা আসামীরা প্রকাশ্যে আমার দুই ছেলেকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে হত্যা করে। ঘটনাটি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার দুই ছেলের রক্তাক্ত নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি।
আবুল কাশেম আরো বলেন, বাবা হয়ে দুই ছেলের মরদেহ চোখের সামনে দেখা এর চেয়ে কষ্টের আর কিছুই হতে পারে না। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শফিকুল ও শুক্কুরের পিতা কাশেম বলেন, দুই ছেলেকে হারালাম, অভিযুক্ত আব্দুল আউয়াল, গোলাপ, মতি, আলকাছ, আমজাদের ছেলে মুমিন, জুলহাস, আউয়ালের ছেলে তুষার, মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহের ছেলে সুমন ও শওকত, বিল্লাল, বিল্লালের ছেলে এরশাদসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দিতে চাইলে পুলিশ আমাদের ওই এজাহার গ্রহণ করেনি।
পরে অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে মামলাটি এন্ট্রি করে পুলিশ। এঘটনায় প্রধান আসামী আব্দুল আউয়ালকে র্যাব গ্রেফতার করলেও বাকীদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।
নিহতের পরিবারের দাবি, দুই কর্মক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অভাব-অনটন, কষ্টের সাথে দিনাতিপাত করছেন তারা। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নিহতের পরিবার।
অভিযুক্তদের নাম কেন মামলায় লিপিবদ্ধ করা হলো না এমন প্রশ্নের জবাবে জিএমপি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।