ইপসোস নামের জরিপ সংস্থার এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বুধবার (১৫ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র ৩২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইসরাইলকে সমর্থন করা। এর আগে যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিন পর ১২-১৩ অক্টোবরে পরিচালিত আরেকটি জরিপ থেকে যা ৪১ শতাংশ কম।
জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৬৮ শতাংশ বলেছেন, ইসরাইলের উচিত অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতি আহ্বান করা ও আলোচনার চেষ্টা করা। তবে জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৩৯ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, গাজা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখা উচিত। এর আগের একটি জরিপে ২৭ শতাংশ মার্কিন নাগরিক এ মত জানিয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, মাত্র ৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করা উচিত। আর জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১৫ শতাংশ বলেছেন, গাজা যুদ্ধে কোনোভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়া উচিত নয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও মাত্র ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা ইসরাইলকে অস্ত্র পাঠানো সমর্থন করেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের পাল্টা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশুসহ ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বেসামরিক হতাহত এড়াতে ইসরাইলকে মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও, গোপনে নেতানিয়াহু বাহিনীকে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের অনুরোধে অস্ত্র বহনকারী অ্যাপাচি বিমানে আরও বেশি পরিমাণে লেজারযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র, ১৫৫ মিলিমিটার শেল, নাইট ভিশন ডিভাইস, বাংকার ধ্বংসকারী যুদ্ধাস্ত্র, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও সাঁজোয়া যান অন্তর্ভুক্ত করেছে পেন্টাগন।