প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩:০৬:১৯ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পর্যটনস্পট বারেক টিলায় এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলায় তার বান্ধবীসহ আরো পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাদের আটক করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে আরেক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের পর্যটনস্পট বারেক টিলার জঙ্গলে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ডলুরা গ্রামের মো: আক্কাছ আলীর ছেলে মো: হৃদয় (২৩), মথুরকান্দি গ্রামের মো: এমদাদুল হক স্বপনের ছেলে মো: সামুয়েল আহমেদ শামু, মো: আক্কাছ আলীর মেয়ে মোসা: আকলিমা আক্তার রিয়া, মথুরকান্দি গ্রামের মো: রমজান আলীর ছেলে মো: আব্দুল আজিজ (২১), একই এলাকার মো: এখলাছ মিয়ার ছেলে মো: হৃদয় (১৯)।
এদিকে, ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার ডলুরা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে শামিম মিয়াকে (২৬) গ্রেফতার করে আদালত মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনায় বুধবার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা ওই তরুণী তার বান্ধবীসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় হলেও জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাঘবেড় গ্রামে তার এক বান্ধবী ছিল। সেই সুবাধে মেয়েটি সেখানে প্রায়ই যাওয়া-আসা করত। এক পর্যায়ে মেয়েটির বান্ধবীর ভাই হৃদয় আহমদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত সোমবার মেয়েটি বান্ধবীর বাড়িতে গেলে হৃদয় তাকে বেড়ানোর কথা বলে পর্যটনস্পট বারেক টিলায় নিয়ে যায়। এসময় তাদের সাথে হৃদয়সহ তার চার বন্ধু ছিল। তারা বারেক টিলা থেকে ফেরার সময় টিলার নির্জন স্থানে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের পর রাতে মোটরসাইকেলে করে তাকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রাধানগর এলাকায় ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শামীম মিয়াকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাগবের এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এরপর বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন উপজেলার অভিযান চালিয়ে বাদির বান্ধবীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো: নাজিম উদ্দিন জানান, ওই তরুণী মামলা দায়েরের পর ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালত পাঠানো হয়।