• সুনামগঞ্জ

    জাতীয় শিক্ষা পদক: শাল্লায় প্রাথমিকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক অরবিন্দু তালুকদার

      প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:১১:৫৪ অনলাইন সংস্করণ

    শাল্লা প্রতিনিধি:তৌফিকুর রহমান।

    সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে প্রতিযোগিতা একটি অন্যতম পন্থা। মনোবল, অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর পরিশ্রম দ্বারাই সাফল্য অর্জিত হয়। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে শাল্লা উপজেলায় সোমবার (৪সেপ্টেম্বর) বিজ্ঞ বিচারক মন্ডলীর দ্বারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রধান শিক্ষক ও সহ: শিক্ষক।

    তথ্যসূত্রে জানাযায়, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ খ্রিস্টাব্দে শাল্লা উপজেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে সাউধেরশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ পুরুষ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন বাহাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দু তালুকদার। শ্রেষ্ঠ মহিলা প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন শান্তিপুর ইসমাইল মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পল্লবী রাণী চৌধুরী। শ্রেষ্ঠ পুরুষ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন সোনাকানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ: শিক্ষক ফুরকান উদ্দিন। শ্রেষ্ঠ মহিলা সহকারী শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন লক্ষীপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ: শিক্ষিকা দিপ্তী রাণী বৈষ্ণব। শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচিত হয়েছে ঘুঙ্গিয়ারগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

    এবিষয়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক অরবিন্দু তালুকদার বলেন, আমাকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করায় উপজেলা জাতীয় শিক্ষা পদক কমিটিকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার বাকী জীবনটা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কল্যাণে কাজ করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি সকলের দোয়া ও আর্শিবাদ নিয়ে স্মার্ট শিক্ষা বিস্তারে কাজ করতে চাই।

    এব্যাপারে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা পল্লবী রাণী চৌধুরী বলেন, আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা এবং স্টাফদের সহযোগিতায় আমি শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা হয়েছি। এটা আমার আনন্দ এবং শিক্ষার কাজকে আরো এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

    এবিষয়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক ফুরকান উদ্দিন বলেন, উপজেলায় শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হয়েছি এটা অবশ্যই আনন্দের বিষয়। আমার এই সল্প সময়ে চাকুরি জীবনের একটা বিশাল প্রাপ্তি। এই ধরনের স্বীকৃতি শিক্ষকদের কর্মস্পৃহাকে আরো প্রসারিত করে। আমি চেষ্টা করছি আমার অবস্থান থেকে কোমলমতি শিশুদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার।

    এব্যাপারে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা দিপ্তী রাণী বৈষ্ণব বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই প্রাপ্তিটা শুধুমাত্র আমার না আমাদের সকলের। আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা সবাই খুব আন্তরিক হয়ে কাজ করি। বিশেষ করে আমাদের প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ তৈরীর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

    এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

    এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা তাপস রায় বলেন, বাংলাদেশ সরকারের এটা গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী একটা পদক্ষেপ। যার মাধ্যমে শিক্ষার বিপ্লব ঘটবে। স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করতে কিছুদিন পূর্বে প্রতিটি স্কুলে ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, বাংলাদেশ সরকারের স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থাপনার জন্য একটা মহৎ উদ্যোগ। জাতীয় শিক্ষাসপ্তাহে শিক্ষকদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানোর জন্যই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই প্রতিযোগিতায় যারা উপজেলার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে আমরা সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট দিয়ে পুরস্কৃত করব।

    আরও খবর

    Sponsered content