প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:৫১:২৩ অনলাইন সংস্করণ
শাল্লা প্রতিনিধি: শাল্লা উপজেলা নিজগাঁও বাজারকান্দি মিলন বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় ও কসমেটিকস খোলা বাজারে বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী। পানীয়ের বোতলের গায়ে লেখা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বছর খানেক আগে। কিন্তু নতুন করে লাগানো তারিখ অনুযায়ী সেই কোমল পানীয়ের মেয়াদ শেষ হতে এখনো দুই বছর বাকি। কিন্তু ক্রেতারা কেনার সময় কোমল পানীয়র এসব বোতলের গায়ে কী লেখা আছে তা কখনোই খেয়াল করেন না। মেয়াদ আছে কি নেই এতকিছু খেয়াল করার বা দেখার সময় কোথায় তাদের? অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামান না। কেনার পর তা দ্রুত পান করে বোতল ছুড়ে ফেলে দেন তারা। আর এ সুযোগই নিচ্ছে একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র। এ বিষয়ে (সাবেক আওয়ামিলীগ এর সভাপতি ১নং আটগাঁও ইউনিয়ন) বর্তামান কমিটির সভাপতি জনাব আজব আলী সাহেব বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি অসাধু চক্র কোমল পানীয় ও কসমেটিকসহ মালামাল বিক্রি করছে।
আমাকে অনেকেই দীর্ঘদিন যাবত বলে আসছে, আমি অনেক দোকানে বলার পরও। আমার কথায় কর্ণপাত করেনি। ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, একটি গোপন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেকদিন যাবৎ ওরা বিক্রি করছে।অন্য আরেকজন বলেন, আমি বারবার ভোক্তা অধিকার আইনে ফোন দেয়ার পরও কোন কাজ হয়নি।
কিছু ব্র্যান্ডের কোমল পানীয়ের উৎপাদনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ঘসামাজা করে উৎপাদনের এবং মেয়াদোত্তীর্ণের নতুন তারিখ বসিয়ে দিয়ে বিক্রি করছে ওই অসাধু ব্যবসায়ী চক্রটি। স্বাস্হকর্মী মানসিংহ চৌধুরী মনুজ বলেন, কিছু অসাধু চক্রের মাধ্যমেই স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এসব পানীয় দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের কোমল পানীয় বিক্রি করছেন। এসব কোমল পানির বোতল থেকে কৌশলে মেয়াদ লেখা জায়গাটি ঘষামাজা করে অস্পষ্ট করে দেয়া হয়। আবার কখনো মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখটি পুরোপুরি মুছে দেয়া হয়। ক্লান্ত পথিকরাও তৃষ্ণার্ত থাকায় মেয়াদ ও মান যাচাই না করেই এসব পানীয় পান করছেন।
যখনই কোনো পণ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায় তখন সেটি মানহীন হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে পথচারী ও যাত্রীদের অভিযোগ, এসব কোমল পানীয়ের বোতল বা ক্যানে মেয়াদের তারিখ এত ছোট করে লেখা থাকে যে তা যে কোনো বয়সী মানুষের পক্ষে খালি চোখে দেখা খুবই কষ্টকর। পানীয়গুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও চকচকে মোড়ক আর ঠাণ্ডা মুখরোচক হওয়ায় কোনো ধরনের সন্দেহ ছাড়াই পান করছেন তারা।
দীর্ঘদিন যাবৎ কসমেটিক ও পানীয়,জুসসহ কিছু কিছু পণ্যের দু-এক মাস মেয়াদ থাকতে দেখা যায়। আবার অনেকগুলোতে মেয়াদের তারিখই থাকে না। এগুলোর ভেতরে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য লুকিয়ে রেখে বিক্রি করছে তারা।
এক পথচারী বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে এক হকারের কাছ থেকে একটি ম্যাংগো জুস কিনে অর্ধেক খাওয়ার পরেই হঠাৎ মনে পড়ল মেয়াদ আছে কি না। কিন্তু বোতলের গায়ে কোথাও মেয়াদ না পেয়ে এ ব্যাপারে একজন দোকানীকে জিজ্ঞাসা করেছি মেয়াদ নেই কেন? উত্তরে সে বলে, যে খায় সেই জানে। এতদিন লক্ষ করিনি তাই। যাক আমি কোম্পানির মাল কোম্পানিরে দিয়া দিমু। স্হানীয় মেম্বার রবীন্দ্র সরকার( ১ নং আটগাঁও ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড) বলেন, যে বা যাহারা এইসব ব্যাবসা সাথে জড়িত তাদেরকে ভেজালবিরোধী অভিযানের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।