• সারাদেশ

    বিএনপির পতাকাতলেই থাকতে চান গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলের বহিষ্কৃত নেতারা

      প্রতিনিধি ২৯ মে ২০২৩ , ৩:৫৪:০২ অনলাইন সংস্করণ

    মো: রাকিব হোসেন, গাজীপুর সদর থানা প্রতিনিধি: গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন বিএনপির ২৯ নেতা। তাঁদের মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে একজন নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু দল থেকে তাঁদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

    ১৪ জন বিজয়ী হলেও ১৫ জন হারিয়েছেন দু’কুলই। ২৯ জনকেই দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। নির্বাচন শেষে এখন প্রশ্ন উঠেছে, বহিষ্কৃতদের কি সাধারণ ক্ষমা করে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে নাকি স্থায়ীভাবে বহিষ্কার থাকবেন।

    নিউজ পোর্টাল ও ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করতে যোগাযোগ করুন।

    তবে বহিষ্কৃতরা সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন। এ জন্য তাঁরা দলের কেন্দ্রে আবেদনও করবেন। গাজীপুর মহানগর সদর থানা বিএনপির সদস্য ছবদের হাসান ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপি তাঁর রক্তে মিশে আছে। জনগণের চাহিদার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। মৃত্যূর আগ পর্যন্ত প্রিয় সংগঠন বিএনপির পতাকাতলেই থাকতে চান। শিগগিরই দলের কাছে লিখিত আবেদন করবেন বলে জানান তিনি। তাঁর আশা, দল নিশ্চয়ই সাধারণ ক্ষমা করে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেবে। সদর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে। দলের প্রতি তিনি অনুগত।

    কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়া মোটেও উচিত হয়নি বলে তিনি মনে করেন। তিনিও কেন্দ্রে লিখিত আবেদন করবেন।

    সদর থানা বিএনপির সভাপতি ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া জানান, বিএনপির রাজনীতিতেই থাকতে চান তিনি। মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র সহসভাপতি কেয়া শারমিন ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবারও সংরক্ষিত কাউন্সিলর হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তবে তিনি আজীবনের জন্য বহিষ্কার হওয়ায় দলের প্রতি ক্ষুব্ধ। গাজীপুর সিটিতে বিজয়ী ১৪ কাউন্সিলরের অন্যরা হলেন ফয়সাল সরকার (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), শাহীন আলম, শহীদুল ইসলাম, খোরশেদ আলম রিপন, মাহবুব রশিদ শিপন, মজিবর রহমান, নজরুল ইসলাম খান বিকি, সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ, শফিউদ্দিন শফি ও আবুল হাসেম। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম বলেন, দলের সিদ্ধান্ত সরাসরি উপেক্ষা করেছেন তাঁরা।

    আরও খবর

    Sponsered content