• লিড

    আরিফের কথা দলের সিদ্ধান্তে অনড় তিনি, ২০ মে হবে বাকি কথাঃ মেয়র পদে ৭ জন, কাউন্সিলর পদে ৩৯৫ মনোনয়ন সংগ্রহ

      প্রতিনিধি ১৫ মে ২০২৩ , ৫:৩৮:২৩ অনলাইন সংস্করণ

    সিসিক মেয়র আরিফের সাফ কথা দলের সিদ্ধান্তের বাইরেও তিনি যাবেন না। দল মনোনয়ন দিলে, সেই মনোনয়নের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা জনগণের। সাধারণ জনগণের ভোটেই মেয়র নির্বাচিত হয়েছি আমি। এ নগরীতে ম্যান টু ম্যান সর্ম্পক আমার। একজন রাজনীতিবিদের মূল চরিত্রইও তাই। সেই চরিত্র রাজনীতিবিদদের অহংকার অলংকার, অর্জনও বটে। আমার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রত্যাশায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দ একই ভাবে জনগণের সাথে মিলে মিশে চলার চেষ্টা করেছেন। নিজকে তৈরী করেছিলেন যোগ্য হিসেবে।

    সিলেট শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হিম সাগর আম এর অগ্রিম অর্ডার চলছে।

    কিন্তু সেই নেতারা দিন শেষে মনোনয়ন পেলেন না, মনোনয়ন এমন একজনকে দেয়া হলো নগরীর জনগণের কাছে সম্পন্ন অপরিচিত। অলিগলি চিনেন না তিনি। ধ্যান জ্ঞান অবস্থান তার যুক্তরাজ্যে। তবে তার বাড়তি পারফরমেন্স হলো সরকার যন্ত্রের সাথে গভীর সর্ম্পক। জন সর্ম্পৃক্ততাহীন এক পদবীধারী রাজনীতিককে উড়িয়ে এনে মনোনয়ন দেয়া হলো আওয়ামী লীগের। এতে প্রমাণ হলো, জনগনের উপর আস্থা নেই, ভিন্ন কৌশলে বিজয়ী কারা পাঁয়তারা খুঁজছে আওয়ামী লীগ। সে কারণে প্রশাসনের অতি উৎসাহী কর্মকা- এখন দৃশ্যমান। সেই সন্দেহ গভীর রূপ নিলে নির্বাচনে প্রার্থী নাও হতে পারি আমি। গতকাল বিকেলে নগরভবনে এক আলাপচারিতায় এমন মন্তব্য আরিফুল হক চৌধুরীর।

    এদিকে, গত শনিবার দুপুরে সিলেটের একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে রোটারেক্ট ক্লাব অব সিলেট সিটি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরিফ বলেন, ‘প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা অতিউৎসাহী হয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। ব্যাপক ধরপাকড় করা হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তাকে বদলিও করা হচ্ছে। এগুলো নির্বাচনকে প্রভাবিত করারই ইঙ্গিত।’

    আরিফুল হক বলেন, ‘যদি আমি নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াই তাহলে বুঝতে হবে প্রশাসনের কিছু অতিউৎসাহী কর্মকর্তার কর্মকা-ের প্রতি সন্দেহ গভীর রূপ নিয়েছে।’ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে ভোটের প্রতি আস্থা ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রশাসন গণহারে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে।’ এসময় ইভিএম নিয়ে সমালোচনা করে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ইভিএমের সাথে নগরের মানুষজন একেবারেই অপরিচিত। নির্বাচনের ছয়মাস আগে ইভিএম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ছিলো। অথচ ভোটাররা এখনো পর্যন্ত ইভিএম সম্পর্কে কিছুই জানে না। ইভিএমে ভোট স্বচ্ছ হবে না। কারসাজি করা হবে।’ বিএনপি বা আওয়ামী লীগের কোন চাপ নেই মন্তব্য আরিফুল হক বলেন, ‘সকল দল তাদের অবস্থানে অনড়।

    এখানে ব্যক্তি আরিফ কোন বিষয় না।’ তিনি বলেন, জাতীয়ভাবে প্রত্যাখান করা হয়েছে ইভিএমে ভোট গ্রহণ। কারন ইভিএম হলো কারসাজির মেশিন। যেমন নাচাই তেমনি নাচে, দোষ নেই ইভিএমের। নাচাবে তারাই যারা অতি উৎসাহী কর্মকা-ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও রিমান্ড খেলা শুরু করেছে। এছাড়া অহেতুক ব্যক্তি আরিফকে নিয়ে ঢালাওভাবে মন্তব্য না করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। নিজে সিলেট মহানগরের সকল মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত বলেও উল্লেখ করেন আরিফুল হক চৌধুরী। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো ধরণের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে অটল বিএনপি। যদিও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এমন গুঞ্জনের মধ্যেই গত ১ মে নগরের রেজিষ্টারি মাঠে একটি অনুষ্ঠানে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। কেন নির্বাচনে যাবে না তার বিভিন্ন কারণ এবং কেন আমরা আজকে সিলেটের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে যাবে এদুটি বিষয় পরিষ্কার করার জন্য সিলেটের তৌহিদী জনতাকে নিয়ে আমি ২০ তারিখ এই মাঠে আমার জনগণের সামনে সিদ্ধান্ত সুস্পষ্ট করব।’ গতকাল পর্যন্ত মেয়র পদে ৭ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আর কাউন্সিলর পদে ৩৯৫ জন মহিলা ও পুরুষ মনোনয়ন কিনেছেন। গত ২৭ এপ্রিল থেকে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন প্রার্থীরা। সংগ্রহ করা যাবে ২৩ মে পর্যন্ত। সূত্রঃ ইনকিলাব

    আরও খবর

    Sponsered content